জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২১-২২ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে প্রক্সি দিয়ে ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে ভর্তি কমিটি। আটক শিক্ষার্থীর নাম মিনহাজুল আবেদীন আল-আমিন।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের আইন বিভাগে ভর্তি হতে আসলে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মিনহাজুল সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত `বি` ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে ১০ম স্থান লাভ করে।
আটক মিনহাজুল আবেদীনের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌরসভার গৌড়ীপুর এলাকায়। তার পিতার নাম মোঃ আবদুল লতিফ। মিনহাজুল ফুলবাড়িয়া পৌরসভার আল-হেরা একাডেমি থেকে এসএসসি এবং ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিনহাজুল প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন।
প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করে ওই ভর্তিচ্ছু বলেন, “ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ পড়ুয়া শাহিনুর নামে আমার এক মামা ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তবে পরীক্ষা কে দিয়েছে সেটা জানি না। বারবার হাতের লেখা চর্চার পর ভাইভায় অংশ নিয়েছিলাম।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘নিরাপত্তা শাখায় এনে মিনহাজুল আবেদীনকে জিজ্ঞাবাদ করা হয়। এসময় সে প্রথমে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে। তার মুঠোফোন জব্দ করে জালিয়াতি চক্রের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাস বলেন, ‘বিভাগে ভর্তি হতে আসলে চেয়ারম্যান এর স্বাক্ষর নিতে হয়। তখন আমরা দ্বিতীয়বার সকলের হাতের লেখা যাচাই করি। এসময় তার হাতের লেখা অমিল পাওয়ায় তাকে সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে আমরা তাকে নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করি। এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে পারে। মৌখিক সাক্ষাৎকারের সময় হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট এর ব্যবস্থা করলেও এই ধরনের প্রতারণা এড়ানো সম্ভব।’