মো: নাহিদুল ইসলাম হৃদয়, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: অধ্যাবসায়ের সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৪০তম বিসিএসে তথ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন হৃদয় মাহমুদ চয়ন। তিনি সদ্য ঘোষিত ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে তথ্য ক্যাডারে ৭ম স্থান অধিকার করেছেন। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ধলাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নবগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগে। অনার্স এবং মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিলো যথাক্রমে ৩.৫৩ এবং ৩.৭১। মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ করার আগেই তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করেন এবং এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের উদ্যেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা তে গমন করেন। সেখানে প্রশিক্ষণ চলাকালীন ৪০তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশিত হলে তিনি আবেদন করেন এবং প্রশিক্ষণ চলাকালীন সফলতার সাথে প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
সেখানকার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন- ‘সারদার সেই কঠিন দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো চোখে পানি চলে আসে, কিভাবে দিনগুলি পাড় করেছি এবং সেই কঠিন সময়েও নিজের টার্গেট থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হইনি। আমার সাথে আমার বাবা-মায়ের দোয়া ছিলো বলেই আজকের এই সফলতা সম্ভব হয়েছে। আমার এই কঠিন পথচলায় যারা আমাকে একটু হলেও সাহায্য করেছেন, তাদের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কাজের অনেক প্রেশার ছিলো, তার মধ্যেও আমার সিনিয়র স্যারেরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন, বিশেষ করে জেলা বিশেষ শাখা, টাঙ্গাইল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জনাব মীর মনির হোসেন স্যার এবং ডিআইও-১ জনাব হারেচ আলী মিয়া স্যার সহ সকল সহকর্মীরা। আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আমার সহধর্মিণী সবসময় পাশে ছিলো, তাকেও অনেক ধন্যবাদ। সকলে আমার জন্য দুয়া করবেন যাতে আমি দেশ ও জাতীর সেবা করতে পারি এবং জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে অংশীদার হতে পারি।’ এর আগে তিনি ৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার ক্যাডার থেকে ট্যাক্স ইন্সপেক্টর হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।