রাজশাহী প্রতিনিধি: – গত ৪ মাসে প্রায় ১ কোটি টিকিট বিক্রির দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং পার্টনার সহজ-সিনেসিস-
ভিনসেন-জেভি। অনলাইন ও কাউন্টার মিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখের বেশি টিকিট নিয়মিত বিক্রির দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সহজ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৫ মার্চ থেকে রেলের টিকিট ইস্যু শুরু করে টিকেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত স্বল্প সময়ের মধ্যে কাউন্টার প্যানেল সফটওয়্যারের মাধ্যমে ওইদিন ৭৭টি স্টেশন কাউন্টার থেকে একযোগে টিকিট ইস্যুর সূচনা করে নতুন এই ভেন্ডর।
চলতি বছর দুই ঈদে সহজ-জেভির পরিচালনায় ১৬ লাখের বেশি টিকিট ইস্যু হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন অফিসিয়াল টিকেটিং ওয়েবসাইট ও নতুন রেলসেবা মোবাইল অ্যাপে অনলাইন টিকিটের জন্য নিবন্ধন করেছেন ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ওয়েবসাইট ও ‘রেল সেবা’ অ্যাপের ন্যাভিগেশন বারে বিভিন্ন ধরনের ফিচার সংযুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সহজ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ভ্যারিফাই টিকিট’ ফিচার থেকে সহজেই টিকিট ভ্যারিফাই করার সুবিধা আছে। তাছাড়া ‘মাই টিকেটস’ ফিচারের মাধ্যমে ৭ দিন পর্যন্ত পুরাতন ও আসন্ন ট্রিপ ডিটেইলস দেখা যায়। যাত্রীরা প্রয়োজনে ‘মাই অ্যাকাউন্টস’ ফিচারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সময় নিজের দেওয়া তথ্য ও পাসওয়ার্ড আপডেট করে নিতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে ‘সহজ’ এর জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে আরও উন্নত, স্বয়ংক্রিয় ও অত্যাধুনিক ফিচার সম্বলিত ডিজিটাল টিকেটিং সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই সময়ে ডেভেলপমেন্টের পুরো কাজ শেষ হয়ে গেলে যাত্রীরা টিকিট কাটার ক্ষেত্রে এখনকার তুলনায় আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।’
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। আগে ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৮১টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্রেন রয়েছে ৬টি। মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়ে থাকে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।