প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বক্তৃতা দেবেন। আওয়ামী লীগের এই জনসভাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ উৎফুল্ল। উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগ প্রধানকে স্বাগত জানাতে গোটা শহরটিকে রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণত মানুষ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কক্সবাজারে আসে। কিন্তু বুধবার জেলাটির বিভিন্ন এলাকার মানুষ আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে দেখতে ও তার বক্তৃতা শুনতে এই জনসভায় আসবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন গণমাধ্যমকে বলেন, এই জনসভায় কক্সবাজার জেলার বাইরে থেকে মানুষকে আনার কোনো প্রয়োজন নেই। এই জেলার মানুষই সমাবেশটিকে জনসমুদ্রে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাতে উদগ্রীব হয়ে আছে। এই শহরে গত ১৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়নকাজ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল শহরটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে, ইনশাআল্লাহ্।’
আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত ১৪ বছরে এই জেলায় ৩ দশমিক ৫০ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই। যদি কিছু প্রয়োজন হয়, তবে আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) অবশ্যই আমাদেরকে তা দেবেন।’
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনগণ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেত্রীকে সরাসরি দেখতে ও তার কাছ থেকে নির্দেশনা পেতে আগ্রহী।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজার সফর করেন। তখন তিনি কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সাথে সঙ্গতি রেখেই, জেলায় ৪০টি মেগা প্রকল্পসহ ৩ দশমিক ৫০ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। জেলার মানুষ ইতোমধ্যেই এই ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল পেতে শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনসভা প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা উপলক্ষে তারা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন সড়কে রঙিন তোরণ ও প্রবেশদ্বার নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও তার ছবি সম্বলিত ব্যানার দিয়ে সড়কগুলো সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টারে সজ্জিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি আয়োজনে অংশ নিতে এক দিনের সফরে বুধবার কক্সবাজার পৌঁছবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী চারদিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২ এতে অংশ নেবেন। বিকেলে, আওয়ামী লীগ সভাপতি জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ও জনসভাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।