রাজশাহী প্রতিনিধি:-রাজশাহীর কাঁটাখালি পৌরসভায় ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ৬ মাসেই পৌরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন মোঃ আনোয়ার সাদাত নান্নু। মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে পৌরবাসীর জন্য দিনরাত কাজ করে চলেছেন তিনি। পৌরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও সুখ- দুঃখে তাদের পাশে থেকে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের নিয়ে পৌরবাসীর সেবায় পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। এর মাঝে একটি কুচক্র মহল ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে যোগদানের পর থেকেই মিথ্যা অপপ্রচার ও তার সুনাম ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমন কি গনমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেন মোঃ আনোয়ার সাদাত নান্নু।
জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১, থেকে কাঁটাখালি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করেন কাঁটাখালি পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার সাদাত নান্নু। এর মধ্যে নিজের কর্ম, সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দিন-রাত পৌরবাসীর সেবায় কাজ করে চলেছেন তিনি। এতে অল্প সময়ের মধ্যে পৌরবাসীর মন জয় করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দলমত নির্বিশেষে সবার প্রিয় ব্যক্তিত্ত হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন ইতিমধ্যে তিনি। আওয়মী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীদের মনে, প্রাণে স্থান পেয়েছেন কাঁটাখালির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদাত নান্নু। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সিদ্ধান্ত মতে কাঁটাখালি পৌর আওয়ামী লীগ কমিটির গুরুত্তপূর্ন পদে রাখা হয়েছে তাকে।
উল্লেখিত, কাঁটাখালি পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলীর অনিয়ম ও দূর্নিতির কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো কাঁটাখালি পৌরবাসী। মেয়র আব্বাসের প্রতি পৌরসভার বেশির ভাগ কাউন্সিলর অসন্তুুষ্ট ও অনাস্থা অভিযোগ ছিলো পাহাড় সমান। গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ স্থানিয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণলয়ের উপসচিব ফারজানা মান্নান সাক্ষরিত এক আদেশে কাঁটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করায় স্থানিয় সরকার আইন বিধি মোতাবেক প্যনেল মেয়র-১ আনোয়ার সাদাত নান্নুকে প্রশাসনিক ও আর্থীক ক্ষমতা প্রদান করে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
কাঁটাখালি পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দরা বলেন, ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে যোগ্য নান্নু। ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পরেই তিনি পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সমস্যাগুলি উল্লেখ করেন। সকল কাউন্সিলরবৃন্দকে সাথে নিয়ে পৌরবাসীর সেই সব সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন।
এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর সভার রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন। পৌর এলাকার ড্রেনেজ সমস্যা, জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনসহ পৌর এলাকা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। পৌরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধান ও পৌর সভার পক্ষ থেকে পৌর বাসীকে প্রত্যাশিত সেবা প্রদানসহ নানা কাজে নিজেকে নিয়জিত রেখে মাত্র ৬ মাসেই পৌরবাসীর প্রিয় ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।
আনোয়ার সাদাত নান্নু বলেন, জনগণের সেবা করার জন্য ছোট থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। জনগণের পাশে থেকে তাদের নানা সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমি ছোট বেলা হতে পিতার মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। জেনেছি সেই মহান নেতা বাংলার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে আমি গর্বিত। তার অনুপ্রেরণায় আমার এ কর্মময় জীবনে অনেক স্বপ্ন চিন্তা-চেতনাকে শতভাগ সফল করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনাদের সার্বিক সহায়তায় আমার চিন্তা-চেতনা ও সৃষ্টিশীল ধ্যান-ধারনা বাস্তবায়নে আমি সর্বদা অবিচল। সন্ত্রাস, দূর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন, মাদকমুক্ত, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। ডিজিটাল সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তথা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও প্রত্যয় নিয়ে কাঁটাখালি পৌরসভাও অতিশীঘ্রই কাংখিত লক্ষ্যে পৌছে যাবে ইনশাল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ত নেয়ার পর থেকে একটি কুচক্র মহল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সাম্প্রতিক গনমাধ্যম কর্মীকে মিথ্যা ও বিভ্রান্ত এবং উদ্দেশ্য মূলকভাবে আমার পরিবার ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। আমি কোন দিন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কোন দলের সাথে জড়িত ছিলাম না।
আমার বাবার দেখানো আদর্শে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেই প্রাধান্য দিয়ে জনগনের মন জয় করে বিপুল ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি।