বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের ফেসবুক সচল হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দুই সপ্তাহ বন্ধ ছিল ফেসবুক-মেসেঞ্জার। বুধবার সেগুলো চালু হলেও দুদিনের মাথায় শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে ফের ফেসবুক বন্ধের অভিযোগ করেন ব্যবহারকারীরা।
ফেসবুক সচল হলেও মোবাইল ইন্টারনেট দিয়ে চলছে না টেলিগ্রাম। তবে বন্ধের সময় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে এসব অ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছিল।
শুক্রবার সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। জুমার নামাজের পর থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সংঘর্ষ ও প্রাণহানির খবর এসেছে।
ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হক রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, কেন বন্ধ ছিল বা কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কিনা, সেটি জানার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অফিস বন্ধ থাকায় জানতে পারিনি। এর আগে দুপুরে তিনি জানান, ফেসবুক বন্ধের কোনো নির্দেশনা তারা পাননি বা বন্ধের নির্দেশনাও দেননি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম।
এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডাটায় তা বন্ধ ছিল। ৩১ জুলাই দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হয়।