মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় এই মিছিল। বেলা দেড়টার দিকে প্রতীকী অস্থায়ী কারবালা প্রাঙ্গন ঝিগাতলা মোড়ে ধানমন্ডি লেকে মিছিলটি পৌঁছাতে পারে।
মিছিলে অংশ নেয়া শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শোকের মাতম করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছেন। অংশগ্রহণকারেীদের নামাজ আদায়-জিকির-দোয়ার মাধ্যমে তাজিয়া মিছিলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
ঐতিহ্যবাহী এই শোক মিছিলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন র্যাব-পুলিশ-সাদা পোশাকের গোয়েন্দা-ফায়ার সার্ভিসসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, ফরাশগঞ্জ, পল্টন, মগবাজার এলাকা থেকে একাধিক মিছিল এসে মিলবে এই তাজিয়া মিছিলের সঙ্গে। সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে সবগুলো মিছিল যাবে এক সঙ্গে।
প্রতিবারের মত এবারও হোসেনি দালান প্রাঙ্গণে ইমাম হোসেন (রা.) এর দুলদুল ঘোড়ার মতো প্রতীতী একটি ঘোড়াকে সাজানো হয়। এই প্রতীকী দুলদুল ঘোড়াটিকে দুধ ঢেলে বরণ করে নেন শিয়া সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা। এরপর দুলদুল ঘোড়াটি মিছিলে যোগ দিলে শুরু হয় কারবালামুখী শোকযাত্রা।
হোসনি দালান ইমামবাড়ার তত্ত্বাবধায়ক এম এন ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইমাম হোসেন (রা.) কারবালা প্রাঙ্গণে শহীদ হয়েছিলেন। তার আত্মত্যাগের পর ইসলাম আবার নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে সত্যের বিজয় হয়েছে।
‘আমরা এবারের তাজিয়া মিছিলে এই বার্তা দিতে চাই যে, সত্যের বিজয় সবসময় সুনিশ্চিত। বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্ম আলো ছড়াবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ মঙ্গলবার, এদিন পবিত্র আশুরা। এ দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন।
সেই থেকে মুসলিম বিশ্ব কারবালার ঘটনাকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করে আসছে। এই দিনে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা শোক পালনে তাজিয়া মিছিলের আয়োজন করে থাকেন।