এ বছর দেশের হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হবে। সৌদি আরবের বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশনের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তাদের গন্তব্যে যেতে পারবেন।
সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চলতি বছরের হজের প্রস্তুতির বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান।
এর আগে ২০১৯ সালে সীমিত সংখ্যক হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা শাহজালালে সম্পন্ন হয়েছিল। তার আগে সৌদি আরবে অবতরণের পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হজযাত্রীদের বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত শুধু মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তাদের নিজ দেশের বিমানবন্দরে হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
এখন থেকে বাংলাদেশের হজযাত্রীরাও ফ্লাইটের আগে ঢাকায় তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন। আগে সৌদি আরবে নামার পর তা করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যেত।
এ বছর বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ মানুষ হজ করার অনুমতি পাবেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনের হজে যাওয়ার কথা আছে। জুলাইয়ের শুরুতে হজের ফ্লাইট শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হজ যাত্রীদের জন্য ফ্লাইটের টিকেটের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। তবে, এদিনের বৈঠকে হজ যাত্রীদের জন্য ফ্লাইটের টিকেটের মূল্য চূড়ান্ত করা হয়নি।
বৈঠকে হজ প্যাকেজ ঘোষণা, হজ ফ্লাইট শিডিউল তৈরি, ইমিগ্রেশন বাস্তবায়নের জন্য শাহজালালে সৌদি কর্তৃপক্ষের জন্য জায়গা বরাদ্দ, ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট, হজ এজেন্সির মাধ্যমে ফ্লাইটের টিকিট দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘সময় কম, তাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে উন্নত হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাকি সময়ে দিনরাত কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের খুব অল্প সময়ে হজের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।’
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।