আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে আপন ভাই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামীদ্বয়কে নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন কুতুবপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে,র্যাব-১৪,সিপিএসসি,ময়মনসিংহ।
‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর।প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস,ধর্ষন,মাদক,অস্ত্র, অপহরণ,হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ১৭ এপ্রিল ২০২২ খ্রি. তারিখে‘ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন রায়মনি (ফকিরবাড়ী) গ্রামে একটি হত্যা সংঘটিত হয়েছে’ এই মর্মে সংবাদ পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদ পাওয়ার পরপরই র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং
ছায়া তদন্ত শুরু করে।পরবর্তীতে র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পলাতক আসামীদ্বয়ের সুনির্দিষ্ট অবস্থান নির্নয়ের ভিত্তিতে ২৭ এপ্রিল ২০২২ খ্রি.তারিখ বুধবার ভোর ০৫.২০ ঘটিকার সময় নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন কুতুবপুর এলাকা হতে আপন ভাই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামীদ্বয় ১। আঃ লতিফ
(৪২), পিতা- মৃত ইয়াকুব আলী, মাতা- জমিলা খাতুন,২। মোছাঃ শেফালী বেগম (৩৫), স্বামী আঃ লতিফ, পিতা- মৃত ফজলু মিয়া, মাতা- মজিরুন নেছা, উভয় সাং-রায়মনি (ফকিরবাড়ী),থানা- ত্রিশাল,জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে র্যাব-১৪গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, ভিকটিম নিহত আঃ মতিন এবং এজাহার নামীয় আসামী মোঃ আঃ লতিফ এর সম্পর্কে আপন ভাই তাহাদের বাড়ীর পাশে পায়ে হাটার কাঁচা রাস্তা নিয়া পারিবারিক বিরোধ ছিলো। উক্ত বিরোধের জেরে গত ১৬/০৪/২০২২খ্রি. সন্ধ্যা অনুমান ০৫.৪৫ ঘটিকার সময় বিরোধীয় রাস্তায় আসামী লতিফ কতক জায়গায় লাউ চাষ করায় চাষকৃত লাউয়ের মাচা ভিকটিম নিহত আঃ মতিন উপরাইয়া ফালাইতে গেলে আসামী লতিফ এবং আসামী মোছাঃ শেফালী বেগম পিছন দিক থেকে এলোপাতারিভাবে আঘাত করে ভিকটিমকে গুরুত জখম করে। উক্ত ভিকটিমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করিলে তাহার অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।