কবি তাজ ইসলামের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ডাক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালের দিকে কিশোরগঞ্জে তার গ্রামের বাড়ি এলাকায় ক্ষুব্ধ জনতা প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিন থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের বড় বন্দের বাড়ী জামে মসজিদকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে বিভাজন সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিন থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের বড় বন্দের বাড়ী জামে মসজিদকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে বিভাজন সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই মসজিদে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না বলেও মনগড়া ফতোয়া দিয়েছে আব্দুল হাসিমের ছেলে কবি তাজ ইসলাম। জয়কা বড় বন্দের বাড়ী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, এই মসজিদের বয়স প্রায় ৪০ বছর। এই মসজিদে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না—এমন কথা বা মনগড়া ফতোয়া দেওয়ার কেউ কখনো সাহস করেনি, মুসল্লিদের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টির ষড়যন্ত্র কেউ করেনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কবি তাজ ইসলাম মুসল্লিদের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে ফেৎনার সৃষ্টি করেছেন যা এলাকাবসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আব্দুর রহিম নামের একজন স্থানীয় মুসল্লি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই মসজিদে নামাজ পড়ে আসছি কিন্তু শুনিনি যে আমাদের নামাজ হবে না। কিন্তু কবি তাজ ইসলাম ইসলামের কোন তথ্য সুত্রে এমন উদ্ভট কথা এলাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়েছে যা আমাদের বোধগম্য নয়।
এদিকে কবি ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে কবি তাজ ইসলাম তার গ্রামের বাড়ি করিমগঞ্জের জয়কা ইউনিয়নের পাড়াকুল মোড়ে একদল সন্ত্রাসীর আঘাতে আহত হন।
কবি তাজ ইসলামের পরিবার আরও জানান, সেসময় কিছু বুঝার আগেই তারা তাজকে পেটানো শুরু করে। তাদের পেটানোতে কবি তাজ ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ বিষয় নিয়ে করিমগঞ্জ থানার ওসি মো: শামছুল আলম সিদ্দিকীর দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক আমি এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। নানামুখী অভিযোগ এসেছে। আমাদের টিম বিষয়টি নিয়ে সর্বাক্ষনিক এলাকায় টহল সহ পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এই পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
স্থানীয়দের অনেকে বলেন, কবি তাজ ইসলাম ঢাকার সাভারে বসবাস করেন। ঈদে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। তার উচিত ছিল ইসলাম, মসজিদ ও মসজিদে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না বলে ভুয়া ফতোয়া বা বিভ্রান্ত না ছড়িয়ে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা, সবার সাথে সোহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। কিন্তু তিনি মুসল্লিকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছেন যা শান্তিপ্রিয় মুসল্লি তা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেনি।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।