ঢাকা , শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন: প্রেস সচিব নওগাঁর মহাদেবপুরে বিএনপি’র কর্মীদের লিফলেট বিতরণ ৭ গোলের ম্যাচে হংকংয়ের কাছে বাংলাদেশের হার রাণীশংকৈলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত। ফরিদগঞ্জে আলহাজ্ব এম এ হান্নানকে ধানের শীষের প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে উপজেলা ও পৌর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের গণমিছিল জুলাই সনদ স্বাক্ষরের তারিখ ঘোষণা, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা দেবিদ্বারে মাদক সেবনের দায়ে দীপংকরের কারাদণ্ড চানখারপুল হত্যাযজ্ঞ: সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আশুলিয়ায় জামগড়া আর্মি ক্যাম্প সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও একটি বিদেশি অত্যাধুনিক শট গান সহ ৩ জনকে আটক করেছে RAW জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে : এম এ মালিক

ইরানে হামলার নেপথ্যে সরকার পরিবর্তন ও পারমাণবিক রুখে দেয়া: বিশ্লেষকরা

সাংবাদিক

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস এবং সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, গাজায় আগ্রাসন চলমান অবস্থায় ইরানে হামলা নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে, তবে ইরানের পাশে এখনো দৃশ্যমানভাবে কেউ নেই।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ যুদ্ধ হঠাৎ নয়, এর রয়েছে সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য। সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির বলেন, “ইসরায়েলের যুদ্ধের দুটি লক্ষ্য। প্রথমত, ইরানের চলমান পারমাণবিক কার্যক্রম ধ্বংস করা। দ্বিতীয়ত, দেশটির সরকার পরিবর্তন করা। এই দুই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা।”

অধ্যাপক শাহাব এনাম খান বলেন, “মূল টার্গেট ইরানের বিপ্লবী গার্ড নয়, বরং বর্তমান সরকার। এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এর পেছনে পশ্চিমা বিশ্বের পরোক্ষ সহায়তাও রয়েছে। সার্বিকভাবে এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের তুলনায় ইরানের জন্য এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অনেক বেশি কঠিন হবে। তবে যুদ্ধের ফলাফলেই নির্ধারিত হবে মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগীয় অঞ্চলের নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। কারা ইরানের পাশে দাঁড়ায়, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৬২৮ Time View

ইরানে হামলার নেপথ্যে সরকার পরিবর্তন ও পারমাণবিক রুখে দেয়া: বিশ্লেষকরা

আপডেটের সময় : ০৩:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস এবং সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, গাজায় আগ্রাসন চলমান অবস্থায় ইরানে হামলা নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাচ্ছে, তবে ইরানের পাশে এখনো দৃশ্যমানভাবে কেউ নেই।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ যুদ্ধ হঠাৎ নয়, এর রয়েছে সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য। সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির বলেন, “ইসরায়েলের যুদ্ধের দুটি লক্ষ্য। প্রথমত, ইরানের চলমান পারমাণবিক কার্যক্রম ধ্বংস করা। দ্বিতীয়ত, দেশটির সরকার পরিবর্তন করা। এই দুই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা।”

অধ্যাপক শাহাব এনাম খান বলেন, “মূল টার্গেট ইরানের বিপ্লবী গার্ড নয়, বরং বর্তমান সরকার। এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এর পেছনে পশ্চিমা বিশ্বের পরোক্ষ সহায়তাও রয়েছে। সার্বিকভাবে এটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের তুলনায় ইরানের জন্য এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অনেক বেশি কঠিন হবে। তবে যুদ্ধের ফলাফলেই নির্ধারিত হবে মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগীয় অঞ্চলের নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা। কারা ইরানের পাশে দাঁড়ায়, তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।