২০২৩ সাল থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তি পরীক্ষার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে ইউজিসির।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণের ভিত্তিতে ভর্তি হতে হবে। তারপর তাদের পছন্দ অনুযায়ী, চয়েস ফর্ম পূরণ করতে পারবে। একেবার অটোমেটিক সিস্টেমের মাধ্যমেই তারা ভর্তির সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তির যেমন পদ্ধতি আছে যে একটি ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়, তারপর অপশন অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে পাবলিক বা প্রাইভেট মেডিকেল চয়েস দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও পাবলিক ও প্রাইভেটের পরীক্ষা একসঙ্গে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসা যায় কি না, সে ব্যাপারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে এ পদ্ধতিতে মান নিশ্চিত করতে না পারলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হারাবে বলে মনে করছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।
বর্তমানে দেশে ১১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিছু সংখ্যক শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিজেদের ইচ্ছেমতো শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ সকল অভিযোগ কমাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার ভর্তি পরীক্ষা চালুর পরিকল্পনা করছে ইউজিসি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, এ ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী না-ও পেতে পারে। বর্তমানে কেন্দ্রীয়ভাবে বণ্টনের কারণে কোনো কোনো কলেজ কিন্তু শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। সেটাই কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব হবে, মানসম্মত শিক্ষা দেয়া।