আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশালে সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরীর বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ত্রিশাল থানায় ভিক্টিমের পিতা মোঃ সুরুজ আলী বাদি হয়ে একটি অভিযোগ করেন। এর আগে ওই দিন দুপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন শ্লীলতাহানীর শীকার ঐ শিক্ষার্থী।
জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার বিকালে সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারই স্কুলের দপ্তরি আনিসুর রহমান (৩৫)। ওই শিক্ষার্থী উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের চৌপাগাড়িয়া গ্রামের ছলি মড়লের বাড়ির ভ্যানচালক মোঃ সুরুজ আলীর মেয়ে।
এ বিষয়ে স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমাদের সহপাঠীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমরা চাই এরকম কোন ঘটনা যেন সারা বাংলায় আর না ঘটে। আমরা সুবিচার চাই। আমরা এক শিক্ষার্থী আর এক শিক্ষার্থীর পাশে আছি।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম জানান,আমি ভিক্টিম কতৃক একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি।অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন জানান,এবিষয়ে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান আনম জানান,এ ঘটনায় সোমবার অভিযুক্ত দপ্তরিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই স্থায়ী ভাবে বহিঃকার করা হবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমি স্কুল পরিদর্শন করে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করি এবং উক্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্য তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের এ কর্মচারী ছিল মাদকাসক্ত,অতীতেও একাধিকবার এলাকাবাসীর তার কুকর্মের অভিযোগ করেছেন কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে বরাবরই রয়েছেন নীরব।