আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,ময়মনসিংহঃ দোবায়ের চা অনুকরণে প্রায় দুই বছর আগে শুরু করে বিখ্যাত হওয়া রাজা মামা এবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী মেলায় এসে নতুন আকর্ষণে রাজা মামা বালুর চা এখন ভাইরাল। মাত্র চার বছর ধরে চা বিক্রি করে ১৮ টি দোকানের মালিক ত্রিশালের এ কৃতি সন্তান। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিখ্যাত রাজা মামা খ্যাত কবি আজাহার উদ্দিনের চায়ের দোকান।
ভিন্ন ধরনের ভিন্ন স্বাদের খাবার দেখে যারা অভ্যস্ত তারা খাচ্ছেন এই রাজা মামার ঐতিহ্যবাহী বালির চা ।
নানান রকম অঙ্গভঙ্গি এবং চা নিয়ে নানান কসরৎ দেখে মজা পেয়ে থাকেন চা খেতে আগত জনতা।
মধ্যপ্রাচ্যের ও অন্যান্য দেশের মতো রাজা মামা তৈরি করেছেন তার রাজা বালুর চা। চা এর সাথে বিভিন্ন সামগ্রী,কাজুবাদাম,কাঠবাদাম,পেস্তাবাদাম,তাল মিশ্রি, দেশীয় গাভীর দুধ ব্যবহার করে থাকেন। সরাসরি আগুনে উত্তপ্ত না করে বালু দিয়ে এই চা তৈরি করে চমক সৃষ্টি করেছেন,ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুর নজরুল একাডেমী মাঠে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্ম জয়ন্তী মেলায় রাজা মামার বালু চা খেতে আগতদের উপচে পড়া ভিড়।আর যারা চা খেতে অভ্যস্ত নয় তারাও একনজর দেখছেন বালি দিয়ে তৈরি এই চায়ের দোকান।
ত্রিশাল পৌরসভার নওধার এলাকার জনৈক আজিমুদ্দিনের সন্তান কবি আজাহার উদ্দিন। রাজা মামা খ্যাত এই কবি এক সময় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই শহরে কর্মসংস্থানের জন্য ছুটে যান। ওখানে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থান করে এ বালির চা তৈরির পদ্ধতি শিখে আসেন।
নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সর্বপ্রথম ঢাকা শহরে একটি বালু চায়ের স্টল দেন।বর্তমানে তিনি ১৮ টি দোকানের মালিক।সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক তার দোকানে কাজ করছেন।
নজরুল জয়ন্তী মেলায় ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আখতারুজ্জামান সপরিবারে তার বালুর চা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। অন্যরাও আসছেন তার দোকানে বালু দিয়ে তৈরি চা খেতে ।