Monday , 20 May 2024
শিরোনাম

চট্রগ্রামের সাতকানিয়ায় লিচুর ফলনে চাষীরা খুশি

সাতকানিয়া প্রতিনিধি ,মোহাম্মদ হোছাইন:

গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের প্রভাব লিচুর ভরা মৌসুমেও পাইকারদের দেখা মেলেনি। এবার ভাইরাসের প্রভাব‌ও নেই তাই উৎপাদনের মৌসুম যেন চাষীদের ব্যস্ত করে তুলেছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। এবছর অনেক আগে লিচু বাজার জাত করতে পেরে চাষীদের মূখে হাসি। অনেক লিচু চাষী বেশি দামের আশায় বাগানের গাছেই লিচু রেখে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়, প্রাকৃতিক ঝড়, বৃষ্টির কারণে বাগানের কিছু লিচু নষ্ট হলেও বেশি ফলনে চাষীদের কোন চিন্তা নেই। উপজেলার লিচু চাষী ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। চলতি বছর আবাহাওয়া ছিল লিচু চাষের অনুকূলে।তাই ফলন ভালো। লিচু চাষে পূজি ও শ্রম লাগে কম। কিন্তু আয় বেশি হয়। উপজেলার মাদার্শা, এওচিয়া,সোনাকানিয়া ও পুরানগড়, ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষ করা হয়। এসব ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন পাহাড়ের পাশে অন্তত ৪০,২৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় বাঁশখালী কালিপুর জাত‌ও চায়না-২ চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচু চাষ হয়। তবে স্থানীয় ও কালীপুর জাতের লিচু চাষের পরিমাণ বেশি।এ জাতের লিচু গাছে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই ফুলের দেখা মিলে আর মে মাসের শুরু থেকে গাছে লিচু পাকতে শুরু করে। অন্য দিকে চায়না ও বোম্বাই জাতের লিচু মে মাসের শেষ সময় থেকে পাকা শুরু করে। সাতকানি‌য়ায় চায়না থ্রী জাতের লিচু চাষ খুবই কম। চায়না-২, চায়না-৩,ও বোম্বাই জাতের লিচু মিষ্টি ও দীর্ঘ কার হয়। ইদানিং উপজেলার লিচু চাষীদের স্থানীয় জাতের পাশাপাশি চায়না-২, চায়না-৩,ও বোম্বাই জাতের লিচু চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সাইরতলি এলাকার লিচু বাগানের মালিক মোহাম্মদ আবছার উদ্দিন বলেন বাড়ির পশ্চিমের পাহাড়ী এলাকায় তার দুটি লিচু বাগান রয়েছে। এসব বাগানে কালীপুর ও চায়না-২, চায়না-৩,ও বোম্বাই জাতের অন্তত দুই শত লিচু গাছ আছে।এ বছর লিচুর ভালো ফলন হয়েছে।তা কয়েক বছরের তুলনায় বহুগুণ বেশি। আরো এক সপ্তাহ পরে বাগানের লিচু বিক্রি করব।এ বছর বাগানে সার কীটনাশক ও মুজুরি সহ মোট খরচ হয়েছে ৪০হ‌ইতে৪৫ হাজার টাকা। বাগানের সব লিচু ভালো ভাবে বিক্রি করতে পারলে আয় হবে আড়াই হতে তিন লক্ষ টাকা। আবছার আরো বলেন এ বছর পাইকারদের প্রতি হাজার লিচু বিক্রি করব আঠারশো থেকে দুই হাজার টাকায়। মাদার্শার লিচু বাগানের মালিক আহামদ হোসেন বলেন স্থানীয় কিছু শ্রমিককে দিয়ে আশপাশের এলাকায় লিচু বিক্রির ব্যবস্থা করেছি বেচা বিক্রি ও ভাল। সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন এ বছর লিচু সহ মৌসুমী অন্যান্য ফলের ও ভলো ফলন হয়েছে। আবাহাওয়া ভালো তাই ‌লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। যথাসময়ে বাগানের লিচু বাজারে বিক্রি করতে পারলে চাষীরা প্রচুর লাভবান হবেন।

Check Also

বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার কর্মী সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা অভিযোগে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অ্যাড.হুমায়ুন কবির সুমনের সাংবাদিক সম্মেলন

লুৎফুর রহমান রিপন।। আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া মার্কা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x