রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যু হ
বুধবার বিকেলে জাপান গার্ডেন সিটির ১৬ নম্বর ভবনের ১৬ তলার ছাদ থেকে তিনি নিচে লাফিয়ে পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জায়না সপরিবারে জাপান গার্ডেন সিটির ১৬ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় থাকতেন। তার বাবা হাবিবুল আজিজ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ছিলেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে জায়না তাদের ভবনের ছাদে যান। তিনি বাইরে থেকে ছাদের দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দেন। এ সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী ছাদের দরজা খোলা রাখতে বললেও জায়না তা শোনেননি। একপর্যায়ে তিনি ছাদ থেকে নিচে ঝাঁপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আদাবর থানার পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জায়নার লাশ উদ্ধার করেন।
পুলিশের মোহাম্মদপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মুজিব আহমেদ পাটোয়ারি বলেন, ছাদের ও আশপাশের ভবনের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ফুটেজে দেখা গেছে, জায়না ছাদে উঠে বৃষ্টির মধ্যে হাঁটাহাঁটি করেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁর মুঠোফোনটি একটি পলিথিনে ঢোকান। ছাদে ওই মুঠোফোন ও একটি ‘সুইসাইড নোট’ রেখে তিনি একপর্যায়ে ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন।
জায়নাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী সদরের ভালিয়ালে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। পুলিশ কর্মকর্তা মুজিব বলেন, জায়নার রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে—‘আমার জীবন একটা ব্যর্থ জীবন। না পারলাম মা–বাবাকে খুশি করতে, না পারলাম অন্য কাউকে খুশি করতে। আমি গেলে কিছু আসবে–যাবে না জানি।’
য়েছে। জায়না হাবিব ওরফে প্রাপ্তি (২২) নামের ওই তরুণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।সূত্র- বাংলাদেশ জার্নাল