রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করা নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউইউর্ক টাইমসের এক অতিথি নিবন্ধে মঙ্গলবার বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে না।
এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে আমি যতই দ্বিমত পোষণ করি… যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে না। যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের মিত্রদের আক্রমণ না করা হয়, ততক্ষণ আমরা এই সংঘর্ষে সরাসরি জড়িত থাকব না।
এ সময় ইউক্রেনকে নিজেদের ভূখণ্ড ছাড়ার ব্যাপারে তিনি সোজাসুজি বলেন, প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে আমি ইউক্রেন সরকারকে কোনো অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে চাপ দিতে পারব না। এটি করা ভুল এবং সু-নিয়ন্ত্রিত নীতির পরিপন্থী হবে।
এদিকে, কীভাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুক্ত হবেন তা নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। উদাহরণ হিসেবেফ্রান্স এবং জার্মানির কথা টেনে এনেছে বিবিসি। পুতিনের সঙ্গে ওই দুই দেশের নেতা ৮০ মিনিট ফোনে বলা বলেছেন।
কিছু দেশ ইউক্রেনকে ভূখণ্ড হস্তান্তরের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা সন্দেহ করেছেন।
অন্যদিকে, ন্যাটোর পূর্বপ্রান্ত সেনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা দিয়ে শক্তি বাড়ানো অব্যাহত থাকলেও ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে ন্যাটোর যুদ্ধ চায় না বলে বাইডেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি পুতিনের সঙ্গে যতটা দ্বিমত পোষণ করি এবং তার কর্মকাণ্ডকে অত্যাচার মনি করি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাকে মস্কোতে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবে না।
বাইডেন বলেন, যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের মিত্ররা আক্রান্ত হয়, আমরা সরাসরি এই সংঘাতে জড়াব না। কিংবা ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে বা রুশ সেনাদের আক্রমণ করতে আমেরিকান সেনা পাঠাব না।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনকে নিজেদের সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে আক্রমণ চালাতে উৎসাহ বা সেই সক্ষমতা দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। শুধু রাশিয়াকে ব্যথা দেওয়ার জন্য আমরা এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাই না।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে দুপক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ। আর অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ। নিহত হয়েছেন চার হাজার মানুষ।