প্রবাসী আয় আনতে ডলারের দামের সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে এ সংক্রান্ত বিষয় জানিয়ে দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে। তবে হঠাৎ যেন ডলারের দাম বেশি বাড়িয়ে না ফেলা হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো যাতে দাম বেশি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
এদিকে ডলারের দামের সীমা তুলে নেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে তথা বৈধপথে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। এ জন্য প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ডলারের কোনো নির্দিষ্ট দাম থাকছে না। ব্যাংকগুলো বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে ও চাহিদা বিবেচনায় ডলারের দাম ঠিক করবে। আজ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাজারমূল্যে নির্ধারণ হওয়ায় আমদানিতেও একইভাবে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় নগদায়ন হবে বাজারমূল্যে। ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, বিক্রি করবে তার চেয়ে কিছু বেশি দামে।
ডলারের দাম বাড়তে থাকায় গত রোববার দাম বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেয়া হয়েছিল ৮৯ টাকা ২০ পয়সা। এ দাম নির্ধারণের পর কমে গেছে প্রবাসী আয়। রপ্তানিকারকেরাও বেঁধে দেয়া দামে রপ্তানি বিল নগদায়ন করছেন না। এতে আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে গতকাল সংকটে পড়ে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংক।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।
জানা গেছে, এ সময় বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। তাতেই ডলারের দামের সীমা তুলে দেয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে বেঁধে দেয় দাম তুলে দেওয়া হলেও ডলারের বাজারে তদারকি জোরদার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা করার সুযোগ না পান।