মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা :
“একটাই পৃথিবী প্রকৃতির ঐকতানে টেকসই জীবন” এই প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে র্যালী,আলোচনা সভা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি,
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুরাইয়া আক্তার সুইটি এর সভাপতিত্বে ও বান্দরবান জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার জাকারিয়া সরওয়ার লিমা এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবানের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সালাউদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক ফজর উদ্দিন চৌধুরী,কারিতাস প্রতিনিধি লুবনা দাশ, জেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অংচ মং মারমা, পরিবেশ ও নদী রক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বান্দরবান এর সভাপতি বাবু কর্মকার বাবু মনি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী,এপেক্সিয়ান হাবিবুর রহমান’সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিানের কর্মকর্তাগন,বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাক কার্যালয় প্রাঙ্গণ হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বান্দরবানের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে পুনরাই জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,পরিবেশ ও মানুষের মধ্যে রয়েছে এক নিবিড় যোগসূত্র। কিন্তু নানা কারণে পরিবেশ দূষণ সমস্যা প্রকট হওয়ায় মানব সভ্যতা আজ হুমকির সম্মূখীন। এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। এ লক্ষে ব্যাপক জনসচেতনা সৃস্টির লক্ষে জাতিসংঘ ৫ জুন কে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
পরিবেশ দূষণের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে যথা-জনসংখ্যা বৃদ্ধি,নগরায়ন,বনের অবক্ষয়,প্রাকিৃতিক সম্পদের অবক্ষয়-পাহাড় কাটা,পাথর উত্তোলন,দ্রুত শিল্পায়ন, সার ও কীটনাশকের অবাধ ও অপরিকল্পিত ব্যবহার,কলকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া, ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া,খাদ্যে ফরমালিনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার,জুম চাষ,তামাক চাষ ইত্যাদির ফলে পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে। এই দিনে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হবো এই বলে যে “বন ধ্বংস করবো না,মাটি পানি নষ্ট কববো না,তামাক চাষ করবো না। আসুন আমরা চলতি বৃক্ষরোপন অভিযানের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করি এবং প্রত্যেকে কমপক্ষে ৩টি চারা রোপন করি। পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।