হালিম সৈকত।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ৫ নং কলাকান্দি ইউনিয়নের দড়িমাছিমপুর গ্রাম থেকে ৪টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় দড়িমাছিমপুর গ্রামের নতুন সড়কের নতুন ব্রিজের নিচ থেকে মাছ ধরতে গিয়ে একদল কিশোর অস্ত্রগুলো খুঁজে পায়।
অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ১টি রাম দা, ১টি ছুরি, ১টি কাওয়াল ও ১টি শাবল।
পরে এগুলো দড়িমাছিমপুর গ্রামের আহম্মদ হাজীর ছেলে সিএনজি ড্রাইভার আলমের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং পরের দিন বৃহস্পতিবার কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম সরকারের কাছে জমা দেওয়া হলে তিনি তিতাস থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রব ওঠে আলমের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ও আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বুধবার দড়িমাছিমপুর কুরের মধ্যে মাছে ধরছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন কিশোর চিৎকার দিয়ে ওঠে, অস্ত্র পাইছি অস্ত্র পাইছি!
পরে দড়িমাছিমপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান ভাই বলল, এগুলো তোর বাড়িতে নিয়া যা এবং এগুলো চেয়ারম্যান সাহেব অথবা পুলিশের কাছে জমা দিয়া দে। পরের দিন এগুলো আমি চেয়ারম্যান সাহেবের অফিসে জমা দেই। আর কেউ কেউ বলছে এগুলো নাকি আমার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসলে আমি নির্দোষ। আমার কাছে অস্ত্র আসবে কোথা থেকে? আমি চালাই সিএনজি।
এই বিষয়ে, দড়িমাছিমপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান বলেন, তখন আমি মাছ ধরার স্থানে ছিলাম। ইয়াছিন, আনিস, নাহিদ, আল আমিন, সালমান ও রিয়াদসহ কয়েকজন মাছ ধরতে গিয়ে এগুলো পায়। আমি আলমকে বলি তোর বাসায় নিয়া যা, আগামীকাল থানায় অথবা চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে জমা দিয়ে দিস। সে তাই করেছে।
এই বিষয়ে কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার সিএনজি ড্রাইভার আলম আমার অফিসে ৪ টি দেশীয় অস্ত্র জমা দিলে আমি এগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেই।
আপনার মাধ্যমে আমি একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, আমার ইউনিয়নে অস্ত্রবাজ ও মাস্তানদের কোন ঠাঁই নাই। কেউ এগুলো করে পার পাবে না। আমি এই ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত একটি শান্তির আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।