করোনা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে ফেরার অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। আর প্রথম ধাপেই অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জুন) ঢাকার চীনা দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যা আমাদের দুই দেশের জন্য সুখবর।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, সাংহাই নামক যে শহরটি কভিড-১৯-এর সর্বশেষ ঢেউয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, সেটি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। এ ব্যাপারে কেউই সন্দেহ পোষণ করবে না যে, সাংহাইয়ের করোনা পরিস্থিতির এই উৎসাহজনক উন্নয়নের পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপসমূহ এবং এক কার্যকরী কৌশল অবলম্বনের সাফল্য।
তিনি আরও বলেন, কৌশলটি হলো গতিশীল শূন্য-কভিডনীতি। চীনের গতিশীল শূন্যকরণ নীতির লক্ষ্য শূন্য সংক্রমণ নয়, বরং সর্বনিম্ন সম্ভাব্য সময়ে সর্বনিম্ন সামাজিক খরচে কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে আনা। চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো, কার্যকরভাবে ১.৪ বিলিয়ন চীনা জনগণের স্বাস্থ্য এবং স্বাভাবিক জীবন রক্ষা করা। তথ্য ও পরিসংখ্যান প্রমাণ করেছে যে এই গতিশীল পন্থা জীবনের অধিকারকে রক্ষা করেছে, যা চীনের জনগণের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আরও বলেন, এরই আলোকে, আমি আরেকটি সুসংবাদ ঘোষণা করতে চাই যে, চীন বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরার অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশ প্রথম লটে রয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। সেখানে তারা বলেন, চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ছুটি দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে ফেরত নেওয়া হয়নি। এতে তাদের একাডেমিক কার্যক্রম ক্ষতির মুখে পড়ছে।