র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
গত ২৪/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সন্ধায় মোঃ জীবন (১৯), মোঃ রাফি (১৮) ও মোঃ বিজয় হোসেন (১৭)দের সাথে জনি @ ঘোড়া জনি (৩৫), মোঃ দ্বীন ইসলাম @ বাবু (১৯) ও হৃদয় (২১) সহ আরো বেশ কয়েক জনের সাথে মোবাইল হারানোকে কেন্দ্র করে ঝগড়া-বিবাদ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনি @ ঘোড়া জনি, মোঃ দ্বীন ইসলাম @ বাবু ও তাদের সহযোগীরা মিলে জীবন, রাফি ও বিজয়দের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪/০৬/২০২২ খ্রিঃ আনুমানিক রাত ২০:৩০ ঘটিকার সময় জীবন, রাফি ও বিজয় ওরা তিনজন রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ০১ নং কলেজ রোড এলাকায় অবস্থান করা কালীন জনি @ ঘোড়া জনি ও মোঃ দ্বীন ইসলাম @ বাবুরা তাদের সহযোগীদের নিয়ে জীবনদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে তাদেরকে এলোপাতারিভাবে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকে একপর্যায়ে জনি ও তার সহযোগীরা তাদের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে জীবন, রাফির ও বিজয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।৪। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় জীবন, রাফি ও বিজয়কে তাৎক্ষনিক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে গত ২৫/০৬/২০২২ খ্রিঃ আনুমানিক সকাল ০৯:০০ ঘটিকায় জীবন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে এবং রাফি ও বিজয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। উক্ত ঘটনায় জীবনের বাবা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় জনি @ ঘোড়া জনি, মোঃ দ্বীন ইসলাম @ বাবুসহ ১০ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত হত্যাকান্ডের সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৬/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাতে রাজধানী ঢাকার চকবাজার মডেল থানাধীন হরনাত ঘোষ রোড এলাকা হতে আলোচিত জীবন হত্যা কান্ডের মূল পরিবল্পনাকারী ও কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ জনি @ ঘোড়া জনি (৩৫)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত জনি @ ঘোড়া জনি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মধ্য বয়সী ও স্বল্প বয়সী কিশোরদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যাদের দ্বারা জনি কামরাঙ্গীরচরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মারামারি, হত্যা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখলসহ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বলে জানা যায়। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় মাদক, হত্যার চেষ্টা, চুরিসহ মোট ০৮টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের করা হয়েছে।