সৌদি আরবের রিয়াদে বিশ্ব প্রতিরক্ষা সামগ্রীর প্রদর্শনীতে যোগ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রবিবার চার দিন ব্যাপী ওই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-(বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদও প্রদর্শনীতে যোগ দেন। সৌদি সরকার তাঁদের এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
প্রদর্শনীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীও অংশ নেন।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, প্রদর্শনীতে আশিটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ ৩০ হাজার দর্শনার্থী অংশ নেবে।
সৌদি সামরিক শিল্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ালিদ আবু খালিদ বলেন, বর্তমানে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা শিল্প বিশ্বে ৮৫ নম্বর র্যাংকিং এ অবস্থান করছে। ২০৩০ সাল নাগাদ তা র্যাংকিং এ প্রথম ২৫টি দেশের মধ্যে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে।
সৌদি সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর শতকরা ৫০ ভাগের ও বেশি স্থানীয়করণের জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সৌদি জেনারেল অথরিটি অফ মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রির গভর্নর আহমেদ আলওহালি।
তিনি বলেন, আমরা এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল আগ্রহ দেখেছি এবং এ শিল্পের উদ্ভাবনের জন্য নেটওয়ার্কিং এবং আন্তঃসীমান্ত অংশীদারীর জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ দিতে উন্মুখ রয়েছি। আমাদের দরজা আন্তর্জাতিক নির্মাতা এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য উন্মুক্ত। তারা এখানে প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রতিভা বিকাশ এবং প্রতিরক্ষা শিল্পায়নের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিতে পারে।
আয়োজকরা জানান, এ প্রদর্শনীতে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রদর্শন করা হচ্ছে। এটি এ খাতের ভবিষ্যত্ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।
এ প্রদর্শনীতে শতাধিক স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক কম্পানি তাদের প্রতিরক্ষা সামগ্রী প্রদর্শন করছে। কম্পানিগুলোর মধ্যে লকহিড মার্টিন, বোয়িং, জেনারেল ডায়নামিক, নাভান্তিয়া, বিএই সিস্টেম, এল-৩ হারিস এবং নরিনকো রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. জুবায়ের সালেহীন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ আবু ফারুক সালেহীন, মেজর গাজী হোসাইন এ প্রদর্শনীতে যোগ দেন। এ ছাড়া দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সিদ্দিকী, মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা ও দূতাবাসের মিনিস্টার (কন্সুলার) এস এম রাকিবউল্লাহ প্রদর্শনীতে যোগ দেন।