খোকসা বাসস্ট্যান্ডে কয়েক মাসের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক ইমরানের নির্মম মৃত্যুর পর বাসস্ট্যান্ডে সভ্য সমাজ সংগঠনের ব্যানারে খোকসার জনসাধারণ মানববন্ধন এবং সড়ক অবরোধ করে। দাবী ছিলো বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে ৪টা স্পীডব্রেকার,চারপাশে ত্রিভুজ ল্যান্ড ভেঙে গোল চত্বর এবং রোড ডিভাইডার।
আন্দোলনের একদিন পরে খোকসা পৌর মেয়র তারিকুল ইসলাম তারিক এবং খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস এর তত্ত্বাবধানে স্পীডব্রেকার নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়।
এরপর খোকসার কৃতি সন্তান” বিপদের বন্ধু” সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের দৃষ্টিগোচর হয় খোকসাবাসীর আন্দোলন। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এর কর্মকর্তাদের কাছে খোকসা বাসস্ট্যান্ডের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। একদিন পরেই সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে খোকসা আসেন বৈজয়ন্ত বিশ্বাস। সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রোকৌশলী শাকিরুল ইসলাম খোকসা বাসস্ট্যান্ডে ঈদের আগেই ত্রিভুজ ল্যান্ড ভেঙে চারপাশে সলিং করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে যান এবং পরবর্তী বাজেটের সময়ে গোলচক্কর এবং রোড ডিভাইডার করে দিবেন বলে জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন খোকসা পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তারিক এবং খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে ত্রিভুজ ল্যান্ড অপসারণ এর কাজ শুরু হয়। এত দ্রুত আন্দোলনের সুফল পাওয়ায় আন্দোলনকারী এবং খোকসার জনসাধারণ সকাল থেকেই অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভুয়সী প্রশংসা করে বিভিন্ন পোস্ট করতে থাকে ফেসবুকে।
জৈনক আন্দোলনকারী বলেন, খোকসার আশেপাশের থানা গুলোর মোধ্যে আমাদের খোকসা সবসময় অবহেলিত। খোকসা বাসস্ট্যান্ড এরই প্রমাণ। আশাপাশের থানাতে না চাইতেই সব পেয়ে যায় অথচ আমাদের পেতে হলে আন্দোলন করতে হয়। অবশেষে আমদের দাবী পূরণ হয়েছে এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস স্যার কে অসংখ্য ধন্যবাদ।