জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী কবি-ব্যবসায়ী মো. আনিসুর রহমান গাজীকে (৫০) লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, দগ্ধ কাজী আনিসের অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিকেলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার ঘটনার ব্যাপারে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বেলা ১১টার দিকে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী আনিস কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাসিন্দা।
মো. আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, আনিস গত ২ মাস আগে একটি কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনার দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করেছিলেন। আজ হঠাৎ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে নিজের শরীরে আগুন দেন।
এদিকে দগ্ধ গাজী আনিসের পরিচিত তুহিন নামে এক ব্যক্তি মোবাইলের মাধ্যমে জানান, ব্যবসার জন্য বেশ কয়েক বছর আগে একটি কোম্পানির মালিকের স্ত্রীকে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা দেন আনিস। এই টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের তিনতলায় সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন গত মে মাসের দিকে।
ওই কোম্পানির মালিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলাসহ হুমকি-ধামকির মামলাও আছে কুষ্টিয়া জেলা থানা এলাকায়। এছাড়া গাজী আনিস একজন কবি, তার ১০ থেকে ১২টি কবিতার বই বেরিয়েছে।
আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাবার নাম মৃত ইব্রাহীম হোসেন বিশ্বাস। ৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার স্ত্রী স্বপ্না। ৩ মেয়ের জনক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি চাকরিও করতেন তিনি। ওই কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পান। এজন্য কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় তিনি আজ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।