জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা কুষ্টিয়ার কাজী আনিস (৫০) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিজ শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
জানা গেছে, নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই যুবক কুষ্টিয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। বর্তমানে ঠিকাদারি করেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী নামে তার ঘনিষ্ঠজন জানান, কাজী আনিস একজন ব্যবসায়ী। পাওনা টাকা না পেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এর দুই মাস আগেও তিনি পাওনা টাকার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছিলেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় সহায়তার জন্য গেলেও সহায়তা না পেয়ে আজ দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটান তিনি।
আনিসের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ আলী জানিয়েছে, সে হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবে। ওই কোম্পানি তার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এ নিয়ে-এর আগেও মানববন্ধন করেছেন তিনি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই আজ গায়ে আগুন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, দগ্ধ যুবকের নাম কাজী আনিস। তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বেশির ভাগ অংশ দগ্ধ হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। কাজী আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা।