কুষ্টিয়া শহর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহানা সুলতানা বনির ছেলে চিহ্নিত টেন্ডার জিম্মাদার জেড এম সম্রাটকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব-১২ সিপিসি-১এর একটি অভিযানিক দল টিম অস্ত্র, মাদক ও ওয়াকিটকিসহ নিজের টর্চার সেল থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এ বিষয়ে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডার জিম্মি, সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি, তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, টর্চার সেলে নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে নির্মমভাবে টর্চার করে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধে জড়িত প্রায় অর্ধডজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জেড এম সম্রাট। তার নেতৃত্বে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী শহরজুড়ে সাধারণ জনমনে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
এমন একাধিক অভিযোগ ও জিডি সূত্রে র্যাবের অভিযানিক দল সম্রাটের মজমপুরস্থ অফিস কাম টর্চার সেলে অভিযান চালায়’।
এ সময় সেখানে ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি ওয়ান শুটার, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য, ৪টি ওয়াকিটকিসহ বেশ কিছু সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।’
সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
গ্রেপ্তাররা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম এবং শহর মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহানা সুলতানা বনির ছেলে জেড এম সম্রাট (৩৩), দুই সহযোগী যথাক্রমে পশ্চিম মজমপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুলের ছেলে দীন ইসলাম রাসেল (৩৩) এবং জুগিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওসমান হাসান (৩১)।
গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক কুষ্টিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ র ওই কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তার জেড এমন সম্রাটের মা কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাহানা সুলতানা বনি অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলে যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক নেতারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন। যখনই এদিক-ওদিক হেরফের হয় তখনই আবার র্যাব পুলিশকে দিয়ে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র ও মাদক ধরিয়ে দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়।’ এর আগেও আরও একাধিক বার র্যাবকে দিয়ে আমার ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছে ওরা। আমি এর বিচার চাই।’