শুভ চক্রবর্ত্তী, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
“স্কুল-কলেজ ছাত্রীদের উত্যক্তকারী বখাটে যে-ই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যদি কোনো ছাত্রী বখাটেদের দ্বারা উত্যক্ত বা হয়রানি শিকার হয়, তবে অবশ্যই আমাকে (ইউএনও) জানাবে, 999 এ ফোন দিবে অথবা ওসি সাহেবকে জানাবে। নবীনগরে কোনো মাস্তানের জায়গা হবে না, কারো বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্যক্ত করার প্রমাণসহ অভিযোগ আসলে আমি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কেউ যদি মসজিদ, মন্দির কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকটক বা অশ্লীল ভিডিও বানায় এবং স্কুল-কলেজ চলাকালীন সময়ে ফর্মাল ড্রেস পরিহিত কোনো শিক্ষার্থীকে রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়, তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। ছেলে-মেয়েদের নৈতিক শিক্ষা, বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি, নির্যাতন ইত্যাদি সামাজিক ব্যভিচারের বিরুদ্ধে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।” জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২২ এর পুরষ্কার বিতরণী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশে এমন নির্দেশনা প্রদান করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরের নবীনগর উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ময়নাল হোসাইন চৌধুরীর সঞ্চলনায় উক্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কান্তি কুমার ভট্টাচার্য্য, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাওসার বেগম,সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার ইতি বেগম, ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক পার্থ চক্রবর্তী, সংবাদকর্মী মিঠু সূত্রধর, দেলোয়ার হোসেন, শুভ চক্রবর্ত্তী শুভেন্দু প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের মাঝে স্মারক প্রদান করা হয়।