কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর হোমনা জোনাল অফিস বর্তমানে গ্রাহক সেবার নামে চলছে হয়রানীর মহোৎসব।
অফিসের কতিপয় কর্তাদের সেচ্ছাচারিতা ও পছন্দের দালালদের বাহিরে গিয়ে গ্রাহকরা নিজে আবেদন করে সংযোগ পাচ্ছে না মাসের পর মাস।
আবার দালালদের সাথে চুক্তি করে আবেদন করার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সংযোগ মিলে যাচ্ছে আলাদিনের চেরাগের মত।
জানা যায়, হোমনা জোনাল অফিসের অধিনে ১নং মাথাভাঙা ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামের সাব মিয়া গত ২২মে আবাসিক সংযোগের জন্য নিজে গিয়ে আবেদন করেন।
আবেদনের ২-৪কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তের বিধান থাকলেও দালালদের সাথে চুক্তি না করায় দীর্ঘ ২১দিন পর তদন্ত করে সংযোগ দেয়ার জন্য মোননীত করে নির্ধারিত ফি প্রদানের জন্য নোটিশ প্রদান করে।
এরপর গত ১৩জুন আবেদন ফী ১১৫ টাকা, C.D ফী ৮০০টাকা ও সদস্য ফী ৫০টাকা সমিতির একাউন্টে জমা করা হয়।
টাকা জমার ১৫দিনেও (গত ২৭জুন) সংযোগ না পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির হোমনা জোনাল অফিসের ডিজিএম এর সাথে সরাসরি গ্রাহক যোগাযোগ করেন।
সার্ভিস ড্রপ তার না থাকায় সংযোগ দিতে পারেননি বলে গ্রাহককে জানান ওই ডিজিএম এবং সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সংযোগ দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু গতকাল (৩জুলাই) রবিবার পর্যন্ত সাব মিয়া নামের এই গ্রাহকের সংযোগটি দেয়া হয়নি।
এদিকে একই গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মো. মমতাজ (মোন্তা) কাজী অফিসের কর্তাদের মনোনীত জাহাঙ্গীর নামের একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানকে ১৫শ’ টাকা দেয়ার সাথে সাথে সার্ভিস ড্রপ জোড়া দিয়ে সংযোগ দেয়া হয়।
একই পরিবারের মমতাজের ছোট ভাই আবদুস সাত্তার নিজে অফিসে গিয়ে আবেদন করার ১৫দিন পর বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করে সংযোগ পায়।
তবে এসব অভিযোগের বিষয় বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম, এজিএম.কম’কে জানালেও তারা বিষয়টি আমলেই নেয়নি এবং তারা এসবের সাথে জড়িত নয় বলেও জানায়।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জেনালের ম্যানেজার কেফায়েত উল্লাহ সার্বিক বিষয় জানেন এবং সার্ভিস ড্রপ তার না থাকার কথা তিনিও জানান।
গত সপ্তাহেই সার্ভিস ড্রপ তার হোমনা জোনাল অফিসে সরবরাহ করা হয় বলেও তিনি জানান।
তবে এসব সেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানীর বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না তিনি জানান নি।