নিলফামারী চিলাহাটিতে দুই দিনের ব্যবধানে দুইটি বড় ধরনের চুরি
মো গুলজার হোসেন নিলফামারী প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকায় গত দুই দিনের ব্যবধানে দুইটি বড় ধরনের চুরি সংগঠিত হয়েছে। এ নিয়ে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের মতে আইন- শৃংখলার চরম অবনতির কারণে ঘটনা গুলি ঘটেছে। গত রবিবার রাতে উপজেলার বিএনপির সভাপতি ও ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালুর চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশের বাড়ি থেকে গভীর রাতে অসচেতন ঔষধ প্রয়োগ করে বাড়ির লোকজনদের অসচেতন অবস্থায় ফেলে স্বর্ণ অলংকার সহ প্রায় এক কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন মধ্যরাতে কে বা কারা রান্নাঘরের জানালার শিখ কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর তারা সুকৌশলে সম্ভবত চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে আমাদের অচেতন করে ঘরের লোকাল ও আলমারি ঘরের বাইরে বের করে তালা ভেঙে বাড়ির স্বর্ণ অলংকার সহ আমার ও আমার বাবার রক্ষিত প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অপর দিকে সোমবার গভীর রাতে চিলাহাটি বাজারে রোমানা টাচ স্টোরের টিনের চালার টিন খুলে ভেতরে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে রক্ষিত টাকা, মূল্যবান শাড়ি প্যান্টের পিস শার্টের পিস চুরি করে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রোমানা টাচ স্টোরের ভিতরে প্রবেশ করে দোকানে বন্ধ রাখে।
দোকানের মালিক সবুজ জানান, দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে প্রায় এক লক্ষ টাকা সহ শাড়ি প্যান্টের পিস শার্টের পিস চুরি হয়ে গেছে। ঘটনার পর দোকানের মালিক হতবাক হয়ে পড়ে।
চিলাহাটিতে পরপর দুইটি বড় ধরনের চুরি ঘটনাকে নিয়ে স্থানীয়রা বলেন, আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে এত বড় চুরি সংগঠিত হয়েছে। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে চেয়ারম্যানের বাড়িতে চুরি, চিলাহাটি বাজারে পাহারা থাকার পরও ছাদের টিন খুলে চুরি যাওয়ায় বাজারের অন্যান্য বড় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক চরিয়ে পড়ে। এলাকার অনেক প্রভাবশালীরাও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া গত কয়েকদিনে এলাকায় ছোট বড় একাধিক চুরি সংঘটিত হয়েছে।
চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ খোরশেদুল আলম বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনার অংশ হিসাবে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলার তেমন কোন অবনতি ঘটেনি।