পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের দৌড়ে চতুর্থ রাউন্ডের ভোট শেষে টিকে রয়েছেন তিন প্রার্থী, সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস এবং জুনিয়র বাণিজ্য মন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট।
এদের মধ্যে কোন দুই প্রার্থী রান-অফ ভোটে যাবেন তা নির্ধারণ করতে আজ (২০ জুলাই) শেষবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫৮ জন টোরি এমপি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার চতুর্থ রাউন্ডের ভোট শেষে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এখনও এগিয়ে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পদে চূড়ান্ত প্রার্থী হতে গেলে নিজের দলের ১২০ এমপির সমর্থন দরকার। অর্থাৎ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির এক তৃতীয়াংশের সমর্থন।
চতুর্থ দফায় নিজের দলের ১১৮ এমপির ভোট পেয়েছেন সুনাক। জুনিয়র বাণিজ্য মন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট ৯২ ভোটে পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন, যেখানে লিজ ট্রাস ৮৬ ভোট পান। মাত্র ৫৯ ভোট পেয়ে এ দৌড় থেকে বেরিয়ে যান ব্যাডেনোচ।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর কনজারভেটিভ পার্টির ২ লাখ সদস্যের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন চূড়ান্ত দুই প্রার্থীকে।
এই মাসের শুরুতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে সমর্থন হারানোর পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরপরই ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগীতায় মেতে ওঠেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা।
এদিকে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিবার্চনের আগে কনজারভেটিভ পার্টির অভ্যন্তরে কোন্দোল দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা প্রতিপক্ষরা নিজেদের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে পরষ্পরকে দোষারোপ করা শুরু করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। এই ধরনের ঘটনা দেশের জনতার সামনে পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে বলে মনে করছেন দলের সদস্যরা।