নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে আলহাজ্ব এডভোকেট মো: রুহুল আমিন দুলাল এক দীপ্তময় জ্বলন্ত প্রদীপ। যার অসামান্য অবদানে কুড়িগ্রাম জেলার যুবলীগ আজ সু-সংগঠিত এবং অনেক শক্তিশালী। কুড়িগ্রাম জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি অনুসরণ করতেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ও এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবদ্দশায় হাজী দুলাল ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সক্রিয় সদস্য, ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সহ-দপ্তর সম্পাদক এবং ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম আওয়ামী লীগ পৌর শাখার একজন সদস্য এবং ২০০৩ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর তিনি ২০০৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন অন্যতম সদস্য এবং কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
আলহাজ্ব এডভোকেট মো: রুহুল আমিন দুলাল ২০১৫ সাল থেকে অদ্যবধি বৃহত্তর কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক পদে দায়িত্বরত আছেন। স্বচ্ছ রাজনীতিবীদ এবং অত্যন্ত কর্মীবান্ধব হওয়ায়, কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের প্রতিটি কর্মীর কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি এখন কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের ‘সভাপতি’ পদে পদপ্রার্থী।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি অনেক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতিক কুড়িগ্রাম জেলায় যখন বন্যার পানিতে মানুষ ঘরবন্দী, খাবারের জন্য হাহাকার, ঠিক তখনই নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ত্রাণ দিতে মানুষের পাশে দাড়ান অ্যাডভোকেট হাজী দুলাল। এছাড়াও তিনি গরীব দুঃখী সাধারন মানুষের এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যদের নামমাত্র মূল্যে আইনি সেবা দিয়ে আসছেন দিনের পর দিন।
আর তার এই সামাজিক, রাজনৈতিক এবং আইন পেশায় স্বীকৃতি স্বরপ;
বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক “মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক অ্যাওয়ার্ড ২০১৮” গুণীজন সম্মাননা, বাংলাদেশ মেধাবিকাশ সোসাইটি কর্তৃক আইন পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য “লিডারশিপ স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০১৮” গুণীজন সম্মাননা, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ কর্তৃক “জয় বাংলা পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড ২০১৮” পদক, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ “কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক ২০১৯”, সাংগঠনিক দক্ষতা ও বিশেষ অবদানের জন্য “হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পদক ২০১৯” ,
আইন পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য “অমর একুশে স্মৃতি সম্মাননা ২০১৯” পদক, সফল সংগঠক হিসেবে গুণীজন সম্মাননা, “বঙ্গবন্ধু একাডেমী সোশ্যাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৯” এবং রাজনীতি আইনজীবী ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতার সুবন সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ কর্তৃক “গুণীজন সম্মাননা ২০২১” প্রাপ্ত হন।
তিনি ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর শিবির হত্যা মামলার আসামি সহ ২০০৭ সালে ১/১১ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করায় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মানহানী মামলা করেন
তিনি বলেন , আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি স্বচ্ছ রাজনীতি , দেশপ্রেম এবং সমাজ সেবা ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন জোরালোভাবে করা সম্ভব নয়। আর আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র কণ্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মানুষের পাশে থেকে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।