মনিরুল ইসলাম – মেহেরপুরে শ্যামপুর গ্রামে ৮লক্ষ্য ৩০হাজার টাকা সমমুল্যের বীজ চুরি করে বিক্রির দায়ে জহিরুল ইসলাম নামের কথিত এক আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করেছে একই গ্রামের বীজ ব্যবসায়ী শামীম। সরাসরি বীজ ব্যাবসায়ী ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে বলেন,নবগঠিত শ্যামপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের কৃষি বীজ ব্যবসায়ী শামীম রেজা কথিত আওয়ামীলীগ নেতা জহুরুলের নিজ বাড়ি সংলগ্ন দুটি সেমি পাকা দোকানের মধ্যে একটি ভাড়া নেয়,উক্ত দোকান ঘরটি শামীম রেজা স্টোর রুম হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল।
অন্য আরেকটি দোকান জহুরুল তার দলীয় আফিস হিসাবে ব্যবহার করেন,গত কুরবানীর ঈদের আগে থেকে ব্যাবসার কেনাবেচা কম থাকায় স্টোর রুম খোলার কোন প্রয়োজন না থাকায় উক্ত দোকানের মালিক শামীম কোনদিন খুলেও দেখেননি,হঠাত আজ সকালে স্টোর রুম খুলে দেখেন স্টোর রুমের অর্ধেক মালামাল গায়েব,ঘটনাটি জহুরলকে জানালে অকপটে চুরি হোয়া মালামালের কথা শিকার করেন।স্টোর রুমের হিসাবের তথ্য অনুযায়ী মোট ২০ লক্ষ্য টাকা মালামালের মধ্যে ৮লক্ষ্য ৩০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে,জানা যায় কথিত জহুরুল নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আসছে,শামীমের স্টোর রুম থেকে কৃষিবিজ চুরি করে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে গ্রামের অসচ্ছল পরিবারের মাঝে চাল সহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরন করতেন, তার উদ্দেশ্য ছিলো বড় একজন নেতা হওয়া,যার বিনিময়ে সে একজন ইউনিয়নের প্রতিনিধি হতে পারে।ঘটনা সুত্রে আরো জানা যায় গত বছর শ্যামপুর বাজারে নির্মিতব্য মার্কেটের পানির মোটর চুরি করেও ধরা খেয়েছিল জহুরুল।
পরে আজকের এ ঘটনায় সুবিচার পাবার জন্য শ্যামপুর বাজারস্থ্য আকতার হোসেনের কার্যালয়ে শামীম ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নিয়ে আসেন,সেখানে আকতার হোসেন,নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় ৫লক্ষ্য টাকায় আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে জহুরুলের বসতভিটা ও দোকানের ১ কাঠা জমি শামীমের নামে লিখে দেয়,তার সাথে শর্ত জুড়ে দেয়া হয় ১বছরের মধ্যে জরিমানার ৫ লক্ষ্য টাকা জহুরুল দিতে ব্যার্থ হলে উক্ত সম্পত্তি শামীমের নামে রেজিস্টারি করে দিতে জহুরুল বাধ্য থাকবে।এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দেশে বিভিন্ন রকম চাদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম যারা করে বেড়াচ্ছে,অবিলম্বে দল থেকে তাদেরকে বহিস্কার করার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।