মন্ত্রিপরিষদ দুইটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আজ খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছে। এসবের একটি হচ্ছে মেহেরপুুরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং অপরটি নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে অংশগ্রহণ করেন।
সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ের ক্যাবিনেট ডিভিশনের সম্মেলন কক্ষে ছিলেন।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় দুইটি, অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো হবে। তিনি বলেন, এই দুই খসড়া আইন যাচাই বাছাইয়ের শর্ত দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ ‘মুজিনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর অ্যাক্ট-২০২২’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ অ্যাক্ট-২০২২’’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ দেশে হালকা প্রকৌশল খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডস্ট্রি পলিসি-২০২২’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এ নীতিমালার কারণে হালকা প্রকৌশল শিল্প প্রসারিত হবে। এতে এ শিল্প খাতের ভূমিকা আরও জোরদার হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন গতিশীল হবে।’
সিলেট নগরী ও এর আশেপাশের এলাকার পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ওই বৈঠকে ‘সিলেট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি অ্যাক্ট-২০২২’র খসড়া অনুমোদন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত এ আইনে সিলেট নগরী ও এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলা ঠেকানোর মাধ্যমে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে এ নগরীকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ অভিবাসন ও গতিশীলতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্বারকের (এমওইউ) অনুমোদন দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও গ্রীসের মধ্যে এটি স্বাক্ষরিত হয়। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ সমঝোতা স্বারকের আওতায় প্রায় ৪০০০ বাংলাদেশি নাগরিক প্রতি বছর গ্রীসে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। তারা প্রাথমিকভাবে গ্রীসের কৃষিখাতে কাজ করতে পাঁচ বছরের অনুমতি পাবেন। তিনি আরও বলেন, গ্রীসে ইতোমধ্যে অবৈধ হয়ে পড়া ১৪,০০০ থেকে ১৫,০০০ বাংলাদেশি নাগরিক এ চুক্তির আওতায় বৈধ হতে পারবেন।বাসস