কাজী মোঃআশিকুর রহমান ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে সোম বার রাতে (২২ আগস্ট) চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নারায়নপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। ভিকটিম সামিনাকে হত্যার ১৭ বছর পর দ্বিতীয় বারের মত গ্রেপ্তার হলো রহিম ও তার স্ত্রী রোকেয়া।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানাধীন উত্তর কাউনপাড়া এলাকার আ. রহিম এবং তার স্ত্রী রোকেয়া। রহিম পেশায় একজন তালার নকল চাবি তৈরি কারক। রোকেয়া একজন গার্মেন্টস কর্মী। ভিকটিম সাভারের কাউন্দিয়া এলাকার জুরা মিয়ার মেয়ে সামিনা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-৪ জানায়, গত ২০০৩ সালে সাভারের কাউন্দিয়া নিবাসী ভিকটিম সামিনা (১৮) এর সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত আসামী রোকেয়ার ছোট ভাই মামলার মূল আসামী সাভারের বক্তারপুরের জাফরের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের ১০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য ভিকটিমের স্বামী জাফর, গ্রেপ্তারকৃত আসামী রোকেয়া, রোকেয়ার স্বামী আ. রহিম এবং মামলার অন্য আসামীরাসহ একবার ভিকটিমের মুখে সিগারেটের আগুন দিয়ে সেঁকা দেয়াসহ বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০০৫ সালের ৭ জুন পূর্ব পরিকল্পনা মতে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী রোকেয়া ও আ. রহিমের ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন সৈয়দপুর তাদের ভাড়া বাড়িতে স্বামী জাফরকেসহ দাওয়াত করে নিয়ে আসে।সেখানে ভিকটিমের স্বামী জাফর, সকল আসামিদের উপস্থিতিতে ভিকটিমের উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিমের স্বামী জাফর ঘরে থাকা দাহ্য জাতীয় পদার্থ ভিকটিমের শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাহির থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।
পরে ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে নয়ারহাট গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করে এবং সেখানে অবস্থার অবনতি দেখলে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ই জুন ভিকটিম সামিনা মৃত্যুবরণ করেন।
আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হন্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব।