জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে এমনিতেই হিমসিম খাচ্ছে ব্রিটিস জনগণ ঠিক তখনই বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মূল্য ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা এমন এক সময় এলো যখন দেশটি একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী জন্য অপেক্ষা করছে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও আল- জাজিরা।
যুক্তরাজ্যের জ্বালনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফগেম শুক্রবার জানিয়েছে যে তাদের সরবরাহকারীর সাথে একটি নির্দিষ্ট চুক্তিতে নেই এমন গ্রাহকদের জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বার্ষিক জ্বালানি মূল্য ১ হাজার ৯৭১ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫৪৯ পাউন্ডে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী অক্টোবর থেকেই এই নতুন মূল্য কার্যকর হবে।
জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের জন্য অফগেমের দাবি, বিশ্বব্যাপী পাইকারি গ্যাসের দামের ক্রমাগত বৃদ্ধির কারনেই তারা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশ্ব করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে রাশিয়া ধীরে ধীরে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়াকেই জ্বালানি মূল্য রেকর্ড বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছে অফগেম।
শুক্রবার অফগেমের পরিচালক জোনাথন ব্রিয়ারলি বলেছেন, আমরা জানি যে এই মূল্য বৃদ্ধি ব্রিটেন জুড়ে পরিবারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এবং গ্রাহকদের এখন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে কথা বলি এবং আমি জানি যে আজকের খবর অনেকের জন্য খুবই উদ্বেগজনক হবে। তবে আমরা বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই দাতব্য সংস্থাগুলি উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে যে আর্থিকভাবে চাপা পড়া পরিবারগুলি বছরের পর বছর ধরে সবচেয়ে খারাপ ক্রিসমাসগুলির একটির মুখোমুখি হবে৷
১৯৮২ সাল থেকে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হারে ভুগছে যুক্তরাজ্য। মুদ্রাস্ফীতি ইতিমধ্যেই ১০ শতাংশের ওপরে এবং বর্ধিত জ্বালানি মূল্যে কারণে আগামী মাসগুলিতে ১৩ শতাংশ পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে৷
দারিদ্র-বিরোধী বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ জ্বালানি সমস্যার মধ্যে পড়বে। জ্বালানি খরচ করার জন্য প্রায় মানুষকে নিজেদের উষ্ণ রাখা বা রান্নার মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে বাধ্য হবে।