আব্দুল হাকিমের ফেইসবুক ওয়াল থেকে হুবহু তুলে ধরা হল।
আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে…………
আমার নাম: আব্দুল হাকিম পিতা: মরহুম আব্দুল ছোবহান তৎ পিতা: মরহুম নজির আহম্মদ তৎ পিতা: মরহুম আক্কাস আলী,
সাং: মির্জাপুর, ভেলোয়ারপাড়া, ৩নং ওয়ার্ড ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়ন, থানা: হাটহাজারী, জেলা: চট্টগ্রাম।
ওয়ারিশ সুত্রে আমি মরহুম নজির আহম্মদ এর নাতি। আমার দাদারা দুই ভাই:
০১| #নজির_আহাম্মদ ০২| #বাহার_উল্লা প্রকাশ বারন মিয়া যার পিতা: মরহুম আক্কাস আলী
নজির আহাম্মদ ও বাহার উল্লাহ তারা দুই ভাইয়ের মধ্যে ১৯৩৮ ইং সনে রেজিস্ট্রিকৃত যৌথ একটি অংশ নামা সংগঠিত হয়। সেই অংশনামায় উল্লেখ আছে যে #নজির_আহাম্মদ_১৮গন্ডা_এক_কড়া, #বাহার_উল্লাহ_১৩গন্ডা_এক_কড়া, অংশনামা অনুযায়ী ভোগ দখল করবেন। আমার দাদা নজির আহাম্মদ ও বাহার উল্লাহ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় দুজনেই মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে রেখে যান তার একমাত্র পুত্র আব্দুল ছোবহান ও এক মেয়ে কুলছুমা খাতুন। তারাও ওয়ারিশ সূত্রে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় আমার পিতা আব্দুল ছোবহান ২৭শে মে ১৯৯২ইং সনে মৃত্যুবরণ করেন। আমার পিতা মৃত্যুকালে রেখে যান তিন পুত্র: ১| আব্দুল করিম, ২| আব্দুর রহিম ৩| আব্দুল হাকিম এবং আমার ছয় বোনদের। দূর্ভাগ্যবশত আমার দুইভাই অবিবাহিত অবস্থায় একভাই ১৯৯৪ইং সনে এবং আরেক ভাই ২০১৩ ইং সনে মৃত্যুবরণ করেন।
আমার মা, আমার বাবা ও ভাইদেরকে হারিয়ে শোকে একেবারেই কাতর হয়ে যান। তখন আমি ছোট ছিলাম। আমার পরিবারে সাহস করে কথা বলার বা জায়গা-জমি গুলো রক্ষনাবেক্ষণ করার মত কেউ ছিলোনা। সেই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাহার উল্লা প্রকাশ বারন মিয়ার ওয়ারিশগণ যথাক্রমে: ১|#সেকান্দর_মিয়া, ২| #আব্দুস_শুক্কুর,৩| #সিরাজ_মিয়া,৪| #আব্দুল_খালেক ,৫| হারুন প্রকাশ #কুটিপতি আমার মাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে আসছিলো। যখন আমার বুঝার মতো বয়স হয়েছে এইবার আমার প্রতি শুরু করলো অমানুষিক অত্যাচার। তাদের দাবি, নজির আহাম্মদ বাহার উল্লার ভাগ সমান সমান হবে। আমরা নাকি তাদের জায়গা ভোগ করছি। বিভিন্ন সময়ে তারা মুন্সীর ব্যবস্থা করে। আমিও মুন্সীর ব্যবস্থা করি। সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদ্বয়ের উপস্থিতিতে জায়গা পরিমাপ হয়। বৈঠক শেষে তারা আর স্ট্যাম্প এ স্বাক্ষর করে না স্বাক্ষর বিহীন কয়েকটা স্ট্যাম্প আমার ফাইলে পড়ে আছে। কিছু দিন চুপ থাকে, বছর খানেক অতিবাহিত হওয়ার পর আবার শুরু করে পাগলামি। জায়গা পাবে, দখল করবে, ঘরে পাবে, ঘর ভেঙ্গে দিতে হবে, আবুল তাবুল জপতে থাকে। মুন্সী নিয়ে এসে আমাদের জমিতে খুটি গারে। বাড়ির সামনে খুটি গারে। এইভাবে তো আসলে মানুষ বাচতে পারেনা। তারা কাগজের ব্যাপারে কিছুই বুঝতে চায় না। শুধু মুখে বাড়াবাড়ি করে গায়ের জোর দেখায়, জোর-জুলুমি করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ সহায় থাকলে, তারা ৫০জন হলেও আমি একজনকে কিছুই করতে পারবেনা ইনশাহ্ আল্লাহ্ ।
আমি এক আল্লাহর উপর ভরসা করি আর কাগজে বিশ্বাস করি কারন, সম্পত্তির ডকুমেন্ট, কাগজ পত্র এসবই হলো আসল তারা তা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না ।
গত ৬/৭মাস পূর্বে আমাদের বাড়ির পাশে আমার মৌরশী সম্পত্তি থেকে কড়া ২কড়ার মত আমাদের পার্শ্ববর্তী দিদার গং এর কাছে তাদের জরুরি প্রয়োজনে বিক্রয় করি এবং আমি উপস্থিত থেকে তাদের খরছে পাকা ওয়াল নির্মাণ করি। কাজ চলাকালীন সময়ে বাহার উল্লার ছেলে আবুইদ্দে প্রকাশ কুটিপতি বর্তমানে যার রান্নাঘর তা আমাদের জায়গার উপর, সেই আমাদের সমাজের সর্দারকে আমার কাছে পাঠায় এই বলে যে, যেন কাজ বন্ধ রাখি। আমি সর্দারকে উত্তরে বললাম কাজ বন্ধ রাখবো সমস্যা নাই, কিন্তু কি মূলে জায়গা পাবে ডকুমেন্টস গুলো দেখাতে হবে। প্রয়োজনে আপনি জমা নেন একটা বৈঠক দেন। আমি কয়েকদিন কাজ বন্ধ রাখার পর তাদের কোন খবর নাই; আবার পুনরায় দেওয়ালের কাজ শুরু করে সম্পন্ন করে দিদার গংকে হাটহাজারী রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করে জায়গা মুন্সী এনে পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিয়ে দিই। ১মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তারা জোর জুলুমী করে গায়ের জোরে পাকা দেওয়াল টা ভেংগে ফেলে এবং দিদার গং তাদের জন্য একটা ভাংচুর মামলা করে। মামলা চলাকালীন সময়েও তারা বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং কয়েকবার তাদের সাথে ঝগড়াও হয়েছে, যা এলাকার মানুষ কম বেশি সবাইই জানে। এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩/০৮/২০২২ইং তারিখে আমাদের ৩নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার হান্নান মিয়া তালুকদার মোঃ সুমন তালুকদার ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ২পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জায়গাটি পরিমাপ করা হয়। উপস্থিত সাক্ষিগণের সাক্ষাতে দিদার গং এর ক্রয়কৃত জায়গাটি দিদার গংকে বুঝিয়ে দেয় এবং তারা সেখানে পুনরায় কাজ শুরু করে। এই সব দেখে বাহার উল্লাহ গং পাগল হয়ে গেছে।
বাহার উল্লা গং ডকুমেন্টে ব্যর্থ হয়ে হেরে গিয়ে আজ ২৫/০৮/২২ইং তারিখে আমাদের বসতবাড়ির পার্শ্ববর্তি জায়গায় তারা খুটি গারে আরো বলেযে আগামীতে তারা পাকা ওয়াল নির্মাণ করবে,আমার মা বাধা প্রদান করলে তারা চেয়ারম্যান মহোদয় ও মেম্বারের অনুমতি নিয়েছে বলে, বর্তমানে আমার পরিবারে আমার বৃদ্ধা মা, আমার স্ত্রী ও আমার ছোট ছেলেমেয়েরা ছাড়া আর কেউই নেই। বর্তমানে আমার পরিবার খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং আমার পরিবারের প্রতি অত্যাচার করতেছে মুহাম্মদ হারুন আবুইদ্দে প্রকাশ কুটিপতি, আব্দুল খালেক, সেকান্দর মিয়া সকলের পিতা মরহুম বাহার উল্লা। মুহাম্মদ আজম পিতা: সেকান্দর মিয়া(যে সব সময় সন্ত্রাসের ভয় দেখায় তার হাত নাকি অনেক লম্বা)। এরা সব সময় গায়ে পরে ঝগড়া করতে চায়
বর্তমানে আমি একজন প্রবাসী হিসাবে
এই ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক যথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব আকতার হোসেন খান সুমন খান এর নিকট বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি এবং আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
অবগত করছি
এস.এম. রাশেদুল আলম সম্মানিত চেয়ারম্যান হাটহাজারী উপজেলা।
সাহেদুল সাহেদ নির্বাহী অফিসার হাটহাজারী।
উপজেলা প্রশাসন হাটহাজারী
হাটহাজারী মডেল থানা