সাবেক আইজিপি মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা, ট্রাইব্যুনালের লিখিত আদেশ প্রকাশ
জুলাই-অগাস্ট হত্যাযজ্ঞে নিজের সম্পৃক্ততা এবং সহঅভিযুক্তদের বিষয়ে ‘সম্পূর্ণ ও সত্য’ তথ্য দেওয়ার শর্তে সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই আদেশে বলা হয়, মামুনসহ তিন অভিযুক্ত—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর একাধিক ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদেশের সময় মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, অন্য দুই অভিযুক্ত পলাতক।
আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর মামুন দায় স্বীকার করেন এবং জানিয়ে দেন, তিনি তদন্তে সহায়তা করতে ইচ্ছুক এবং অপরাধে জড়িত সব ব্যক্তির ব্যাপারে ‘সৎ ও সম্পূর্ণ’ তথ্য দেবেন।
তার পক্ষ থেকে আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ ট্রাইব্যুনালে একটি ক্ষমার আবেদন জমা দেন। ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলিও শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা দেওয়ার পক্ষে মত দেন, যার মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল– মামুনকে সত্য তথ্য প্রদান করতে হবে, যা বিচার কার্যক্রমে সহায়ক হবে।
এই বিবেচনায় ট্রাইব্যুনাল মামুনকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা প্রদান করে এবং তাকে ভবিষ্যতে সাক্ষী হিসেবে ডাকবে বলে জানায়। একইসঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন মামুনের নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে অন্য বন্দিদের থেকে আলাদা রাখা হয়।
আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং রেজিস্ট্রারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।