ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

সাংবাদিক
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। এ সময় তাকে বহন করা গাড়ি ভাঙচুর করে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।

তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর আটকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন উজ্জল নামে বিএনপির এক কর্মী। তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার কালবেলাকে জানান, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজে দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা চলছিল। ফলাফল ঘোষণার সাহস পাচ্ছিলেন না উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা লোকজন। পরে অনুরোধের প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও থেকে রাত ৮টায় ভোটকেন্দ্রে আসেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। ফলাফল ঘোষণা করে ফেরার সময় তার ওপর চেয়ার ছুড়ে মারেন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় তার গাড়ির সামনের ও পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ কালবেলাকে জানান, ফলাফল ঘোষণার পর তৃতীয় তলা থেকে নিচে নামার সময় হঠাৎ করেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

 

গাড়িতে থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক নেতা রাশেদ আলী জানান, কোনোমতে ভাইকে রক্ষা করেছি। সঙ্গে যারা ছিল, তারা অন্য গাড়িতে করে মহাসচিবের ভাইকে পার করে দিয়েছি। তবে রাতে আলো কম থাকায় হামলাকারীদের চিনতে পারিনি।

এর আগে দুপুর আড়াইটার সময় বালিয়ডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় সভাপতি পদে দুই ভোট নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর অবরুদ্ধ হয়ে যায় জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

পরে সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলমকে সভাপতি এবং ড. টিএম মাহবুবর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং অয়ন চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৭:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
৫১৫ Time View

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

আপডেটের সময় : ০৭:২৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। এ সময় তাকে বহন করা গাড়ি ভাঙচুর করে বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

শনিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।

তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর আটকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন উজ্জল নামে বিএনপির এক কর্মী। তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার কালবেলাকে জানান, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজে দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা চলছিল। ফলাফল ঘোষণার সাহস পাচ্ছিলেন না উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা লোকজন। পরে অনুরোধের প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও থেকে রাত ৮টায় ভোটকেন্দ্রে আসেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। ফলাফল ঘোষণা করে ফেরার সময় তার ওপর চেয়ার ছুড়ে মারেন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় তার গাড়ির সামনের ও পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ কালবেলাকে জানান, ফলাফল ঘোষণার পর তৃতীয় তলা থেকে নিচে নামার সময় হঠাৎ করেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

 

গাড়িতে থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক নেতা রাশেদ আলী জানান, কোনোমতে ভাইকে রক্ষা করেছি। সঙ্গে যারা ছিল, তারা অন্য গাড়িতে করে মহাসচিবের ভাইকে পার করে দিয়েছি। তবে রাতে আলো কম থাকায় হামলাকারীদের চিনতে পারিনি।

এর আগে দুপুর আড়াইটার সময় বালিয়ডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় সভাপতি পদে দুই ভোট নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর অবরুদ্ধ হয়ে যায় জেলা থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

পরে সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলমকে সভাপতি এবং ড. টিএম মাহবুবর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক এবং অয়ন চৌধুরী সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।