হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের পাশাপাশি তৎপর থাকবে নৌ-পুলিশ। সারা দেশে নৌ-পুলিশের বেশ কয়েকটি কন্ট্রোল রুমসহ মাঠে থাকবে ১১টি ইউনিট। পূজামণ্ডপে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতিমা বিসর্জনের দিনেও ইউনিটগুলো বিশেষ নিরাপত্তায় সতর্কাবস্থায় থাকবে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশান নৌ-পুলিশের সদর দপ্তরে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান নৌ-পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজি মো. শফিকুল ইসলাম।
আইজি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি এবং রাজধানীতে ২৪২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে বিভিন্ন নদীকেন্দ্রিক ৭৯২টি পূর্জামণ্ডপে নৌ-পুলিশ সরাসরি দায়িত্ব পালন করবে। বিভিন্ন নদীর ৭৭টি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। সব ঘাটেই নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সতর্কাবস্থায় থাকবে। ৭৭টি ঘাটে যুগ যুগ ধরেই প্রতিমা বিসর্জন করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘাটই সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
নৌ-পুলিশ প্রধানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জিতেন্দ্র লাল ভৌমিক, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, সহসভাপতি নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসসহ প্রায় ২০ জন ধর্মীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সারা দেশ থেকে নৌ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান, মো, শফিকুল ইসলাম, পংকজ চন্দ্র রায়, এসপি গৌতম কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।