মোঃজিলহাজ বাবু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাস্তার ধারের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আহাতার দক্ষিণ শহর পার্ক রাস্তায়
সরকারি নিমগাছ কাটা হয়েছে। রবিবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে রাস্তার ধারের বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র নিম গাছ কাটার সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে তা ফেলে পালিয়ে যায় শ্রমিকরা।
জানা যায়, জেলা শহরের জিয়ানগর এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে আসাদ আলী এসব কাটছিলেন। রবিবার দুপুরে গাছ কাটতে গিয়ে সকল ডালপালা ও কান্ড কেটে ফেলার পর স্থানীয়রা বাধা দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হারুনুর রশীদের কাছ থেকে রাস্তার ধারের জায়গা কিনে মার্কেট নির্মাণ করেছেন আসাদ। মার্কেটের সামনে থাকা আমগাছের মালিক আসাদ আলী হলেও নিমগাছটি রাস্তার। আমগাছ বৃদ্ধিতে সমস্যা হওয়ায় বিএমডি’র নিমগাছ কাটছিল বলে জানান স্থানীয়রা।
নিমগাছটির কয়েকগজ কাছেই আসাদ আলীর মার্কেটে দোকান রয়েছে জিল্লুর রহমানের। তার স্ত্রী মিনু বেগম বলেন, আজকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাছ কাটতে আসে লোকজন। প্রথমে ডালপালা ও কান্ডগুলো কাটা হলে স্থানীয় কয়েকজন গাছ কাটতে বাধা দিলে তারা সম্পূর্ণ না কেটেই চলে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সে যতোই দাবি করুক না কেন তার জায়গায় নিমগাছ রয়েছে, বাস্তবে কিন্তু তা নয়। কারন সে তার নিজের জায়গায় গাছ কাটলে বাইরের কোন বাধা দিলে কেন গাছ কাটা ফেলে পালিয়ে যাবে? এ থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায়, আসাদ আলী সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রাস্তার ধারের সরকারি গাছ কাটছিলো। তার উদ্দেশ্য ভালো ছিল না।
এনিয়ে আসাদ আলী মুঠোফোনে বলেন, আমার মার্কেটের সামনে থাকা নিমগাছটি আমার জমিতেই রয়েছে। পাশে থাকা আমগাছগুলোর জন্য সমস্যা হচ্ছে, তাই নিমগাছ কেটে ফেলছি। কারো বাধায় না, শ্রমিক আরেক জায়গায় চলে গেছে তাই গাছ কাটা বন্ধ করেছি। বাকি অংশ পরে কাটব। এছাড়াও আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির থেকে গাছ কাটতে অনুমতি নেয়া হয়েছে।
তবে আলাউদ্দিন নামের স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আমি গাছের মালিক নয়। তাই আমি গাছ কাটতে বলার কেউ না। হয়ত সরকারি গাছ কেটে ফেসে গেছে, তাই আমার নামে দায় দেয়ার পায়তারা করছে।