র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধীসহ বিভিন্ন প্রকার চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন ১নং ইলেকট্রিক সুপার মার্কেট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করাকালীন ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ আবুল হোসেন (৪৫) ও ২। মোঃ আল আমিন (১৮) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ০২টি মোবাইল ফোন, চালকদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ব্যবহৃত ০২ টি কাঠের লাঠি ও আদায়কৃত চাঁদা- ৬,৬৫০/-(ছয় হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা উদ্ধার করা হয় এবং একই তারিখ র্যাব- ১০ এর অপর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে ০১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম মোঃ সোহেল (২৮) বলে জানায়। এ সময় তার নিকট থেতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১টি চাকু উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া একই তারিখ র্যাব- ১০ এর অপর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগ থানাধীন কালুনগর এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে ০১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম মোঃ আল আমিন @ আসিফ @ কালু (১৯) বলে জানায়। এ সময় তার নিকট থেতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১টি চাকু ও ০১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ কদমতলী, যাত্রাবাড়ী ও হাজারীবাগসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরীসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও হেলপারদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করত এবং পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা, মোবাইলসহ মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।