ইসমাইল আশরাফ,বিশেষ প্রতিনিধি।।
তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। রাত হলেই তার ডিউটি গার্মেন্টসে কিন্তু দিনের বেলায় তিনি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। পকেটে পুলিশের ইউনিফর্ম পড়া ছবি এবং কোমড়ে ওয়াকিটকি রাখেন সবসময়। তিনি নিজেকে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচয় দেন সবার কাছে।
অবশেষে আজ বিকেলে উত্তরা ৭নং সেক্টরের মাসকট্ প্লাজার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মোঃ নাসির ফকির(৩৭) গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানার আরোয়াকান্দি গ্রামের জব্বার চুন্নু ফকিরের ছেলে।
জানা যায়, নাসির ফকির একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। তিনি আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। তার ডিউটি থাকে রাতে। তাই সারাদিন তার কাজ থাকে না। এই সুযোগে দিনের বেলা তিনি পুলিশ সেজে ঘুরে বেড়ান শহর জুড়ে। তার কোমড়ে থাকে একটি ওয়াকিটকি। আর মানিব্যাগে পুলিশের ইউনিফর্ম পড়া ছবি। তার চুল রাখেন ছোট ছোট, যাতে দেখে পুলিশের কোন কর্মকর্তা মনে হয়। পুলিশের এই বেশ ধরে তিনি ঘুরে বেড়ান। এরপর চলার পথে, মার্কেট কিংবা লোকালয়ে সহজ সরল কাউকে পেলে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দেহ তল্লাশি করেন। তারপর বিভিন্ন হুমকি ও ভয় দেখিয়ে তাদের টাকা, মানিব্যাগ ও মোবাইল হাতিয়ে দেন।
আজ ২০-১০-২২ইং বিকেলে মাইনুল ইসলাম নামের একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে তার গতিরোধ করেন নাসির ফকির। প্রথমে তার পরিচয় জানতে চান। এরপর তার পকেট ও ব্যাগ নিয়ে অযথা তল্লাশি শুরু করেন। ওই সময় উত্তরা পশ্চিম থানার টহল পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হলে মাইনুল তাদের সব খুলে বলেন। এরপর টহল পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে নাসির ফকির এক পর্যায়ে নিজেকে ভুয়া পুলিশ বলে স্বীকার করেন। ইতিপূর্বে তিনি এর আগে একই ধরনের অপরাধে মিরপুরে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
নাসির ফকিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা চলমান।।