খেলা শেষ হতে তখন মাত্র ৮ বল বাকি। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২৮ রান। হারিস রউফের শেষ দুই বলে ছক্কা মেরে ব্যবধান ১৬ রানে নিয়ে আসেন ভিরাট কোহলি। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট সেটাই হতে পারত। কিন্তু শেষ ওভারে যে নাটকীয়তা হলো। তাতে এক দলের সমর্থকদের শ্বাস বন্ধ হয় তো আরেক দলের সচল হয়। তবে শেষ পর্যন্ত হাসি ধরে রাখতে পেরেছেন ভারতের সমর্থকরা। টান টান উত্তেজনার ম্যাচটির শেষ বলে ভারত জয় পায় ৪ উইকেটে।
ভারতীয় বোলারদের তোপ সামলে শেষ পাঁচ ওভারে ঝড়ে রোহিতদের ১৬০ রানের লক্ষ্য দিতে পারে পাকিস্তান। হার্দিক পান্ডিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে যা মামুলি লক্ষ্যই বলা চলে। কিন্তু সেই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ভারত। ৭ ওভারের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে চার টপ অর্ডারকে। তাতে জাগে হারের শঙ্কা। কিন্তু সেই খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন ভিরাট কোহলি ও পান্ডিয়া। দুজনে মিলে গড়েন ৭৮ বলে ১১৩ রানের জুটি। সেই জুটিই দেখায় জয়ের পথ।
তবে শেষ ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ডিয়া আউট হলে ফের জাগে শঙ্কা। কিন্তু নওয়াজের নো বলে ভিরাট কোহলি ছক্কা হাকান। তাতে ব্যবধান কমে আসে ৩ বলে ৬ রানের। তারপর ফের নাটকীয়তা। খেলা শেষ হতে যখন ২ বলে ২ রান প্রয়োজন, তখনই স্টাম্পিং আউটের শিকার দীনেশ কার্তিক।
কিন্তু নাটকীয়তার বাকি ছিল তখনও ১ বলে যখন ২ রান প্রয়োজন, সেই বলে ওয়াইড দিয়ে স্কোর লেভেল সমান করলেন নওয়াজ। আর শেষ বলে রবিন্দ্রচরণ অশ্বিন লং অন দিয়ে বল ঠেলে নেন একটি রান। তাতেই খলনায়ক বনে যান পাকিস্তানি এই স্পিনার। যার ব্যাটে এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান, সেই তার নো বলেই ঘুরে গিয়েছিল ম্যাচের মোড়। সেখান থেকে আর জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি বাবর আজমের দল।
জয়ের দিনে ভিরাট কোহলি খেললেন বিরাট এক ইনিংস। ৫৩ বলে ৮২ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। যা সাজানো ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায়। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান শিকারী পাণ্ডিয়া ৩৭ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। যা একটি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো।
হারের দিনে পাকিস্তানের প্রাপ্তি হতে পারত হারিস রউফের বোলিং। শেষ দুই বলে ছক্কায় তার বোলিং ফিগার ৪ ওভার শেষে দাঁড়ায় ৩৬ রানে। সঙ্গে ঝুলিতে ছিল দুটি উইকেট। এছাড়া ৪২ রান দিয়ে নওয়াজও শিকার করেছেন দুটি উইকেট। তিন ওভার পর্যন্ত ২৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। উইকেট দুটি পেয়েছেন শেষ ওভারে। একটি উইকেট শিকার করেন নাসিম শাহ।
দীর্ঘদিন পর চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন শাহিন আফ্রিদি। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ কোনোভাবেই স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না। দলও জিতল না, সঙ্গে নিজের ডেলিভারিতে আসেনি কোনো সাফল্য। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।