সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রণালয় কর্তৃক বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানে কর্মীর অনুপস্থিতির তথ্যনিয়ন্ত্রণ ও পদ্ধতি হালনাগাদ করছে।
সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় (শ্রম মন্ত্রণালয়) সৌদি আরবের বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিতকর্মী যাদের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে অনুপস্থিত (হুরুব) রিপোর্ট আছে তাদের ডাটাবেজ হালনাগাদ করছে। শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, সকল পক্ষের চুক্তিভিত্তিক অধিকার সংরক্ষণ এবং সৌদিআরবের শ্রম বাজারের আকর্ষণ এবং নমনীয়তা বৃদ্ধির উদ্দ্যেশে ২৩/১০/২০২২ইং তারিখ হতে এই হালনাগাদ কর্মসূচি চালু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সৌদি মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্য মতে এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরের আলোকে এই হালনাগাদ কর্মসুচিতে বিদেশি শ্রমিকগণ নিম্নোক্ত সুবিধা প্রাপ্য হবেন-
১. যে সকল কর্মি তার নিয়োগকর্তার কাজে অনুপস্থিত আছেন তাদের ব্যাপারে তাদের নিয়োগকর্তা লেবার অফিসের ওয়েব সাইট মারফত চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আবেদন দিবেন। এতে করে নিয়োগকর্তা ঐ কর্মীর প্রতি সকল দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত হবেন। শ্রম অফিসের ওয়েব সাইটে কর্মীর অবস্থা (কাজ থেকে বন্ধ) দেখাবে। এর পর হতে বর্তমান নিয়োগকর্তা এই কর্মীর কোনো ফি বহন করতে হবে না। এভাবে (কাজ থেকে বন্ধ) স্ট্যাটাস হওয়ার পর কর্মীর অধিকার থাকবে (60) দিনের মধ্যে, অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ট্রান্সফার হওয়ার বা ফাইনাল একজিট ভিসায় নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের,প্রবাসী কর্মী এই দুটি বিকল্পের একটি গ্রহণ না করেই ৬০ দিন উত্তীর্ণ করলে তার স্ট্যাটাস লেবার অফিসের ডাটাবেজে (কাজে অনুপস্থিত) হয়ে যাবে যাকে কর্মিরা “হুরুব” বলে অভিহিত করে থাকেন।
২. এই সুযোগ চালু হওয়ার পূর্বে (২৩/১০/২০২২ তারিখের পূর্বে) “হুরুব প্রাপ্ত” কর্মি যারা আছেন তারা ইচ্ছে করলে নতুন নিয়োগকর্তার অধিনে ট্রান্সফার হতে পারবেন। তবে পূর্ববর্তি সকল বকেয়া ফি নতুন নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হবে। নতুন নিয়োগকর্তার অধিনে ট্রান্সফার আবেদন করলে শ্রম অফিস তা অনুমোদক করবে, শ্রম অফিসের অনুমোদনের ১৫ দিনের মধ্যে ট্রান্সফার প্রসেস সম্পন্ন অবশ্যই করতে হবে। সম্পন্ন না করলে তার স্ট্যাটাস “হুরুব” (কাজে অনুপস্থিত) থাকবে।
৩. হাউজ সেক্টরে কর্মরত কর্মী (যেমনঃ গৃহকর্মী, হাউজ ড্রাইভার, দারোয়ান ইত্যাদি) এই সুযোগের আওতায় পড়বে না। একই ভাবে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা থাকায় তাদের সার্ভিস স্টপ করা আছে তারা এই সুযোগ নিতে পারবেন না।
সৌদি সরকার কর্তৃক ঘোষিত এই সুযোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশী কর্মী উপকৃত হবে বলেন সংশ্লিষ্ট সবাই আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।