ঘূণিঝড় ‘সিত্রাং’কালে বিমান বাহিনী ঘাঁটি স্থানীয় জনগণকে আশ্রয় প্রদান করেছে এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে কক্সবাজারের সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, চরপাড়া, পদনার ডেইলসহ বিভিন্ন এলাকার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে আনুমানিক ৮৪০ স্থানীয় জনগণকে বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারে আশ্রয় প্রদান করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী কার্যক্রমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সাড়া দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয় হতে বিমান বাহিনীর ২টি হেলিকপ্টার ঢাকা ও যশোর হতে আকাশে উড্ডয়ন করে।
হেলিকপ্টার দুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ, দক্ষিণপূর্ব ও দক্ষিণ পশ্চিম এলাকার ওপর উড্ডয়ন করে মানুষ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করে। ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও যথাযথ কতৃর্পক্ষের কাছে দ্রুততম সময়ে হস্তান্তরের মাধ্যমে উক্ত এলাকা সমূহে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদান করা হয়েছে- যার মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভবপর হবে।
পরবর্তীতে, বিমান বাহিনীর আরো একটি হেলিকপ্টার আইএসপিআর প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় আকাশ থেকে রেকি বা পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে। এতে করে জাতীয় গণমাধ্যম ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃত চিত্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পর্যাপ্ত পরিমাণে বিমান ও হেলিকপ্টার সহকারে প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়াও বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এ ‘কেন্দ্রীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র’ আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।