মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসটি পালন করা হয়েছে। দিনের কার্যসূচির প্রারম্ভেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা সভা শুরু হয় পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার সব শিশুর সমান অধিকার- এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার স্থানিয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয়প্রধান রুহুল আমিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর লেবার মো. জহিরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর (কন্স্যোলার) জিএম রাসেল রানা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ২য় সচিব (রাজনৈতিক) মিস রেহেনা পারভীন।
হাইকমিশনার বলেন, জীবনের দীর্ঘ একটি সময় বঙ্গবন্ধুর কেটেছে কারাগারে। শ্রেষ্ঠ সময়ের এতগুলো বছর তিনি অকাতরে কারাগারের ভেতরে কাটিয়ে দিয়েছেন একটা আদর্শকে, একটা স্বপ্নকে ধারণ করে।
বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা অনুকরণীয় উল্লেখ করে শিশুদের রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠ করার আহ্বান জানান। তিনি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর দুইটি গুণ আত্মস্থ করতে বলেন একটি হলো অন্যায়কে না মেনে নেওয়া, অন্যটি হলো দেশকে ভালোবাসা।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেট কাটেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিশু চিত্রাংকন ও বিতর্ক ভার্চুয়ালি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া তিনজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, চলমান করোনার বিধিনিষেধের কারনে শিশুরা অনুষ্ঠানে অসতে না পারায় বিজয়ীদের পুরস্কার ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ খাস্তগীরসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।