বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করা হয়।
দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, এবং যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অপরাহ্নে দূতাবাসের সকল কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, যার প্রতিপাদ্য ছিলো ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার’।
উক্ত অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে মূল আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সংগ্রামমুখর জীবন, কর্ম, আদর্শ এবং একটি স্বাধীন দেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা ও অবদানের উপর দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশী প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।
উপর্যুক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি মান্যবর রাষ্ট্রদূত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবন, কর্ম, আদর্শ আলোচনার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন। জাতীয় শিশু দিবসের গুরুত্ব ও শিশুদের জন্য বর্তমান সরকারের মাইলফলক অর্জন সমূহ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেন।
তিনি আরো বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি শিশুদের সুনাগরিক এবং দেশপ্রেমিক হয়ে বেড়ে উঠতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই নিশ্চিত করছেন।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের উপহার প্রদানের পাশাপাশি সকলকে নিয়ে কেক কাটার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করেন। পাশাপাশি জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
পরিশেষে দূতালয় প্রধান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Tweet