বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আট টি আবাসিক হলের মধ্যে অনুষ্ঠিত আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শেখ রাসেল হল (বাংলা মাধ্যম) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (ইংরেজি মাধ্যম) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ আয়োজন করে প্রভোস্ট কাউন্সিল।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি’র (আইইউডিএস) সহযোগিতায় ‘আসন্ন অর্থনীতির মন্দা মোকাবেলায় সরকার যথা উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন’ শিরোনামে আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফাইনালে অংশগ্রহণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (সরকারি দল) ও শেখ রাসেল হল (বিরোধী দল)।
ছায়া সংসদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব উত্থাপন করেন শাহজাহান আলী। এছাড়া সরকার দলীয় মন্ত্রী হিসেবে আব্দুল্লাহ আল নোমান ও দলীয় সাংসদ হিসেবে মাসুম সরকার প্রস্তাবনার পক্ষে যুক্তিতর্ক উত্থাপন করেন। এদিকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সায়েম আহমেদ, উপনেতা নাহিদ হাসান ও দলীয় সাংসদ হিসেবে নাজমুস সাকিব প্রস্তাবনার বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উত্থাপন করেন।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল আম্বিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির আহবায়ক রুমি নোমান স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। সময় নিয়ন্ত্রক হিসেবে ছিলেন ফতেমাতুজ্জোহরা ইরানী।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলকে হারিয়ে শেখ রাসেল হল ও সাদ্দাম হোসেন হলকে হারিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ফাইনাল খেলার সুযোগ অর্জন করে।
অন্যদিকে ইংরেজি মাধ্যমে ফাইনালে শহীদ জিয়াউর রহমান হলকে (সরকারি দল) হারিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (বিরোধী দল) চ্যাম্পিয়ন হয়। সরকারি দলে ছিলেন সাদিকুর রহমান (প্রধানমন্ত্রী), সাকিল আহমেদ (মন্ত্রী) ও শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম (দলীয় সাংসদ) এবং বিরোধী দলে ছিলেন দেন আরোশী আঁখি (দলীয় নেতা), শওয়ানা সামীম (উপনেতা) ও মারজান সায়িদা (দলীয় সাংসদ)। এ পর্বে বিতর্কের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘দ্যা গভর্মেন্ট হ্যাজ টেকেন এপ্রোপ্রিয়েট মেইজার টু কন্ট্রোল ইনভারমেন্টাল পলিউশন’। সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন জিয়াউর রহমান হলের সাদিকুর রহমান।
এসময় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এছাড়া জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা ও সাদিয়া আফরিন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড.মামুনুর রহমান। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন ও পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সহ বিভিন্ন হলের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পরে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, আমার পদচারণা ছিলো বিভিন্ন জায়গায়। তবে বির্তকের এই জায়গা আমার সবচেয়ে পছন্দের। বির্তকের মাধ্যমে আমরা যুক্তিবাদী হতে শিখি। এজন্যই বির্তকে যুক্তির চাষ হওয়া উচিত। জোরের বিনাশ হওয়া উচিত। চাষ ও বিনাশের মাধ্যমে যে সমাজ গড়ে তুলতে পারবো তা হলো আদর্শ সমাজ।
পরে অতিথি ও বিদায়ী সদস্যদের সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়