ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। সম্প্রতি রুশ হামলার কারণে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, যার ফলে ইউক্রেনের লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যুৎ-পানির অভাবে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো আরও অস্ত্রসহ দেশটির বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল করতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সহ ন্যাটো জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে দুই দিনের বৈঠক শুরু করেছেন। যেখানে ইউক্রেনীয়দের নিরাপদ ও উষ্ণ রাখতে এবং আসন্ন শীততে কিয়েভের সামরিক বাহিনীকে টিকিয়ে রাখার বিয়য়ে আলোচনা করেছেন।
মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, বৈঠকে মন্ত্রীরা তাদের আলোচনায় জ্বালানি, চিকিৎসা সরবরাহ এবং শীতকালীন সরঞ্জামের মতো অ-মারাত্মক সহায়তার পাশাপাশি সামরিক সহায়তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওয়াশিংটন বলেছে, তারা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনতে ইউক্রেনকে ৫৩ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেবে।
মঙ্গলবার ন্যাটো মন্ত্রীদের বৈঠকে, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ, রাশিয়া শীতকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও ইউক্রেনের জন্য আরও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য সদস্য দেশগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন ৷
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এই বৈঠকে যোগ দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অস্ত্র সহায়তা, বিশেষ করে উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন।
কুলেবা বলেন, রাশিযা বিরুদ্ধে লড়ায়ে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা, আইআরআইএস, হকস, প্যাট্রিয়টস দরকার এবং বিদ্যুৎ সরবহাহ নিশ্চিতে দরকার ট্রান্সফরমার।
এদিকে, রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সামরিক উপদেষ্টা দিমিত্রি মেদভেদেভ ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদানের বিরুদ্ধে ন্যাটোকে সতর্ক করেছেন। এছাড়াও ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ন্যাটোকে একটি অপরাধী সত্তা হিসাবে নিন্দা করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স